নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচন্ডি(রুবেলের বাজার) বাপলায় এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন গুপিনাথ রায়।তার বসতবাড়ির সীমনা জুরে প্রায় দেড় শতাধিক ফুল ও ঔষধি গাছের সমন্বয়ে তৈরি করেছেন এক অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।
গুপিনাথ বাবু যেন এক খাঁটি ফুলপ্রেমী বাঙালী তিনি যেন ফুলেই বেশি মুগ্ধ। সেই মুগ্ধতার কথা জানিয়ে গুপিনাথ বলেন,আমি ফুল-ফল অনেক ভালবাসী এবং আমার স্বপ্ন ছিলো ছোট্ট একটা বাগান তৈরি করার সেই স্বপ্ন থেকেই আজ এইটুকু বাস্তবে রুপান্তর।
বাপলা গ্রামটিতে যেসময় বাহিরের লোকের চেহারাও দেখা যায় না আজ সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে বাগান দেখতে আসে উৎসুক জনতা।
এ যেন এক অনন্ত নজির যা বাপলার বুকে এই প্রথম যেখানে নিত্যদিন মানুষের আনাগোনা লক্ষনীয়।
গুপিনাথ বাবুর আয়ের উৎস হিসেবেও বাগানটি অকল্পনীয় সহায়ক। বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের জন্য ফুল কিনতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসেন গুপিনাথ বাগানে।ফুল বিক্রি করার টাকা দিয়ে নতুন নতুন ফুলের গাছ ও ঔষধি গাছ সংগ্রহ করেন বলে জানায় গুপিনাথ রায়।
বাড়ির পেছনেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ক্যাকটাস। বেশ দুর্লভ এই গাছটিও শোভা পাচ্ছে গুপি বাগানে।
বৃক্ষশোভিত উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় দেখা মিলে পুকুরে পদ্মফুল। চোখ মেলে তাকালেই যেন মনটা ভড়ে যায়। কী যে সুন্দর এই ফুল! দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন আপনিও। বিশেষ করে বৃষ্টির জলে ধোয়া ফুল দারুণ স্নিগ্ধ একটা অনুভূতি দেয়। বৃষ্টির ফোটায়, শিশিরের জলে ভিজে চলেছে বাহারী হরেক রকমের ফুলগুলো। এমন অপরূপ দৃশ্য দেখতে না পারার বেদনা কাটাতে আপনিও আসতে পারেন গুপি বাগানে।