কাদের মির্জা আ.লীগকে ধ্বংসের নীল নকশায় ও নির্লজ্জ চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে: সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মঞ্জু।
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
ঊাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল ভাগনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ও কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এ অপরাজনীতির হোতাকে প্রশ্রয় দিয়ে, তাকে নিরাপত্তা দিয়ে একের পর এক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে আ.লীগকে ধ্বংসের নীল নকশায় মেতে উঠেছে। আজকে মেতে উঠেছে নির্লজ্জ চাঁদাবাজিতে। এখানকার টিআর কাবিখা,কাবিটা, সব তার পেটের মধ্যে। এখানে মন্ত্রীর তরফ থেকে দেওয়া সব অনুদানের টাকা তার পেটের মধ্যে। এখানকার উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে পিসির টাকা সে এক বারের জায়গায় দুইবার নিয়েছে। নিয়ম বহিভূত ভাবে এলজি আরডি, সড়ক ও জনপথ,ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের কাজের আগে পিসি নিয়েও কাজ চলা অবস্থায় শেষ পর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
আবার টাকা নিয়ে এখানে তাদেরকে কাজ করতে দেওয়া হয়েছে। এভাবে আজকে কোম্পানীগঞ্জের মানুষ বসুরহাট বাজরে উঠেনা। অনেক ব্যবসায়ী বসুরহাট থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ অবরুদ্ধ,অবরুদ্ধ গণতন্ত্র,অবরুদ্ধ আ.লীগ, আজকে ক্ষতির মুখে আ.লীগ।
রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালী ৫ আসনের সাবেক সাংসদ আবু নাছের চৌধুরী বাড়িতে কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদেও বিচারের দাবীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মুখপাত্র মঞ্জু বলেন, আবু নাছের চৌধূরী বাড়িতে পুলিশের সামনে গুলি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ কোন সন্ত্রাসীকে আটক করেনি। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ দেখেছে। কিন্তু প্রশাসন আজকে পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা নেয়নি। কারণ মামলা থেকে তাদের বাপ, ছেলে, ভাইসহ তিনজনকে মামলা থেকে বাদ দিতে হবে। কাকে মামলার আসামি করব, কাকে মামলার আসামি করব না, সেটা মামলার বাদী বুঝবে। প্রশাসন কাউকে নির্ধারণ করে দেওয়ার আইন বাংলাদেশের সংবিধানে আছে কিনা? এখানকার প্রশাসন পক্ষপাত তুষ্ট। এখানকার প্রশাসনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক। না হলে ঈদের কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদেও দাবি প্রতিষ্ঠা করব। এখানে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ ঐক্যবদ্ধ। আমারা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কাজ করি। কিন্তু এ অপরাজনীতির হোতার কারণে সকল কর্মকান্ড বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অপরাজনীতির হোতা নেতা, আমলা,মন্ত্রী কারো ইজ্জত সম্মান রাখেনি।
তিনি আরও বলেন, কাদের মির্জা কখন আ.লীগ করে কখন পদত্যাগ করে এটার কোন ঠিক নেই। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সদস্য পদ থেকে কাদের মির্জাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় ঈদের পরে আমরা
কঠিন আন্দোলনে নামবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী প্রমূখ।