চলাচলের জন্য যে সব প্রস্তুতির দরকার, তা পুরোদমে চলছে। কোন কমতি নেই সেখানে শ্রমিকের মধ্যে। যা দেখা গেছে,
প্রথম পিচঢালাই করা হয়েছে। তবে তা পরীক্ষামূলক। পুরো সেতুতে পিচঢালাই শুরু হবে আগামী শুষ্ক মৌসুমে। দু-এক দিনের মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ভায়াডাক্টের সর্বশেষ স্ল্যাব বসানোও শেষ হবে। মূল সেতুকে যে উড়াল পথ দিয়ে মাটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে, সেটিকেই ভায়াডাক্ট বলা হয়। জাজিরা প্রান্তে আগেই ভায়াডাক্টের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে যানবাহন চলাচলের পথ তৈরির জন্য কংক্রিটের স্ল্যাব বসানোর কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। আর ১৪৪টি স্ল্যাব বসানো হয়ে গেলেই মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত একটানা পথ তৈরি হয়ে যাবে। চাইলে গাড়ি বা পায়ে হেঁটে এপার-ওপার হওয়া যাবে। অবশ্য পুরোদমে যানবাহন চালু করার জন্য আরও বেশ কিছু কাজ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সেতুর সাইড ওয়াল, সড়ক বিভাজক, পিচঢালাই ও সড়ক বাতিসহ সৌন্দর্যবর্ধনের নানা কাজ। সেতু বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, মূল সেতুতে সড়কপথ তৈরির জন্য বাকি স্ল্যাবগুলো বসানো এখন মূল কাজ। সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। তবে কাজের যে গতি তাতে আগামী মাসের মধ্যেই স্ল্যাব বসানো হয়ে যাবে। পদ্মা সেতুর মূল সেতুর (নদীর অংশ) দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। নিচ দিয়ে যাবে ট্রেন। যানবাহনের জন্য সড়কপথ তৈরির জন্য ২ হাজার ৯১৭টি স্ল্যাব বসানোর কথা। ইতিমধ্যে স্ল্যাব বসানো হয়েছে ২ হাজার ৭৭৩টি।