লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নেইমার জুনিয়র এবং লুকাস পাকুয়েতার গোলে প্যারাগুয়েকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ব্রাজিল। এই জয়ে গ্রুপ পর্বের শীর্ষস্থান আরও পোক্ত করল ব্রাজিল। নিজেদের প্রথম ছয় ম্যাচের ছয়টিতেই জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নেইমাররা। অন্যদিকে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে অবস্থান প্যারাগুয়ের।
গ্যাব্রিয়েল জেসুসের অ্যাসিস্ট থেকে ম্যাচের চার মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন নেইমার জুনিয়র। আর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে লুকাস পাকুয়েতা গোল করেন। আর তাতেই ২-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।ফাইল ছবি
প্যারাগুয়ের মাঠ এস্তাদিও দেফেন্সোরেস দেল চাকোয় নেইমার গোলটা পেয়েছিলেন ম্যাচের শুরুতেই। গোল পেয়েই থেমে থাকেননি তিনি। সতীর্থে তাতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে পিএসজি তারকা বনে গেলেন পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের জয়ের নায়ক। এর আগে ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোল করে, সতীর্থ রিশার্লিসনকে দিয়ে করিয়ে বনেছিলেন ম্যাচসেরা।
আট মাসের করোনা-বিরতি ভেঙে মাঠে নেমেই টানা দুই জয়। তাতে নিজেদেরকে বাছাইপর্বের শীর্ষে সুসংহত করল ব্রাজিল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্জেন্টিনা থেকে এখন দলটি এগিয়ে আছে ছয় পয়েন্টের ব্যবধানে।
বুধবার সকালের এই ম্যাচে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ম্যাচের চতুর্থ মিনিতেই। নিজেদের অর্থ থেকে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের বাড়ানো লং বলে শট নেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হননি রিশার্লিসন। আয়ত্বে নিতে কিংবা বিপদমুক্ত করতে পারেনি প্যারাগুয়ে রক্ষণও। ফলে ফাঁকায় থাকা নেইমারের কাছে চলে যায় বল। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তার করা ফিনিশ এগিয়ে দেয় কোচ তিতের দলকে।
নিজেদের মাঠে খেলা প্যারাগুয়েও অবশ্য ছেড়ে কথা বলছিল না। পিছিয়ে পড়ার পরেই বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিল দলটি। ৮ মিনিটে বিপদসীমার বাইরে থেকেই শট করে বসেন স্বাগতিক ডিফেন্ডার ওমার আলদেরেতে। সেটি কোনোক্রমে প্রতিহত করেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এডারসন। এরপর বেশ কিছু সুযোগ ঠেকিয়েছে ব্রাজিল রক্ষণ।
বিরতির ঠিক আগে ইকুয়েডর ম্যাচের গোলদাতা রিশার্লিসন বল জড়িয়েছিলেন প্যারাগুয়ে জালে। কিন্তু সেটা বাতিল হয় অফসাইডের খড়গে।
প্রথমার্ধে ব্রাজিল তাদের সহজাত ফুটবলটাই খেলেছে। দ্বিতীয়ার্ধেও বদলায়নি এ চিত্রটা। প্যারাগুয়েও সুযোগ তৈরির জন্য মরিয়া আক্রমণই চালায়, কিন্তু অ্যালেক্স সান্দ্রো, মারকিনিয়োস, এডার মিলিতাও আর দানিলোকে নিয়ে গড়া ব্রাজিল রক্ষণ সেসব সামলাচ্ছিল বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই।
এক গোলের অগ্রগামিতা নিয়ে যোগ করা সময়ে পা রাখা ব্রাজিল তাদের দ্বিতীয় গোলটি পায় একেবারে শেষ মুহূর্তে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামা লুকাস পাকেতা গোল করেন নেইমারের কাছ থেকে পাওয়া পাসে। দুই গোলে এগিয়ে গিয়ে ব্রাজিলের জয়ও নিশ্চিত হয় তখন।
এই জয়ের ফলে কনমেবল বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত নিজেদের সবকটি ম্যাচেই জয় তুলে নিল তিতের দল। ৬ ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে দলটির সংগ্রহ এখন ১৮ পয়েন্ট। আর কনমেবল বাছাই পর্বের দুইয়ে থাকা আর্জেন্টিনা সমান ম্যাচ থেকে অর্জন করেছে ১২ পয়েন্ট।