ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন যে, সরকারি আবাসন ও নির্মাণধীন স্থাপনাগুলো এডিস মশার অভয়ারণ্য এসব স্থানে মশার লার্ভা পাওয়া গেলে চার গুণ জরিমানা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে নগর ভবনে মেয়র হানিফ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ‘জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ আয়োজিত ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমরা এখন নির্মাণাধীন স্থাপনা, বিশেষ করে সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। আমি আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছি, সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে চার গুণ জরিমানা করার।
মেয়র বলেন, আমাদের সমস্যা সমাধান করতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন নির্মাণাধীন স্থাপনা, আবাসিক কলোনি ইত্যাদিতে আমাদের মশককর্মীরা যেতে পারেন না, আমাদের কাউন্সিলরদের সেখানে যেতে দেওয়া হয় না। ফলে সেখানে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুর্বল হয়। সেখানে একবার যদি এডিস মশার বংশবিস্তার শুরু হয় তবে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে। সেজন্য সরকারি আবাসন-স্থাপনায় আমরা এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।
তিনি আরও বলেন, এখন বাসাবাড়িতে একটি মরা গাছ থাকলেও একটি ফুলের টব থাকে। ফুলের টবে মরা গাছ শোভা পেল নাকি ফুল শোভা পেল সেটা বিষয় না। ফুলের টব থাকতেই হবে! আমি নারী কাউন্সিলরদের অনুরোধ করবো, আপনারা সেসব বাসাবাড়ির কর্তা-কর্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সেসব ফুলের টবে যেন পানি না জমে, সে বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন।
এ সময় মেয়র তাপস তার বক্তব্যে সরকারি আবাসন ও নির্মাণধীন স্থাপনাগুলোকে এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এডিস মশার বংশবিস্তারের নানাবিধ অনুষঙ্গ এবং তা নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বিত নানাবিধ কার্যক্রম উপস্থাপনা করা হয়।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশোনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিসিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা।