আলোকিত স্বপ্নের বাংলাদেশ ডেস্ক//আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে পানি সমস্যা, সীমান্তে অনিশ্চয়তাসহ বড় ইস্যুগুলো তুলবে। একইসঙ্গে বিজয়ের মাসকেও বড় করে তুলে ধরা হবে।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা জানান। ওই বৈঠকে সমুদ্রসীমা ও পানি কূটনীতিসহ একাধিক বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া একাধিক প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সোনালি অধ্যায়ে বিরাজ করছে। বাংলাদেশের বড় বড় যতগুলো সমস্যা যেমন স্থল সীমানা, সমুদ্র সীমা, পানি সমস্যাগুলো আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অনেকটাই সমাধান করেছি। আমরা বিশ্বে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করেছি, যে দুই প্রতিবেশী দেশ যুদ্ধ, সংঘাত না করে বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে। আমাদের মধ্যে যদি আরো কিছু সমস্যা থাকে, তা আলোচনার মাধ্যমে আমরা সমাধান করতে পারব।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের সবসময়ের বন্ধু, আমাদের বিজয়ে তাদেরও যথেষ্ট অহংকার করার মতো অবদান আছে। ভারতের সহায়তায় আমরা কিন্তু সেই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় অর্জন করেছি। ভারত যদি আমাদের সাহায্য না করতো তাহলে ইতিহাস অন্যরকম হতে পারতো। শুধু ১৬ ডিসেম্বর নয়, তারা (ভারত) অনেকদিন ধরে আমাদের সাহায্য করেছে এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী যে অবদান রেখেছেন তা আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী কয়েক মাস আগে থেকেই বাংলাদেশের জন্য পৃথিবীর সব রাষ্ট্রনায়কের কাছে চিঠি লিখেছেন। তারপর তিনি শুভেচ্ছা সফরে গিয়েছেন। তিনি (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) ইউরোপ, আমেরিকা, রাশিয়া গিয়েছেন এবং বাংলাদেশে নির্যাতনের তথ্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরেছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান সরকার যখন ৪ ডিসেম্বর ভারতের ওপর আক্রমণ করল, তখন ভারত যুদ্ধ ঘোষণা করে। ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকার ওই সময়ের বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার প্রধানকে জানাল যে ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এগুলো আমাদের জন্য বড় পাওয়া। ভারতীয় সৈন্যরা আমাদের মুক্তি সংগ্রামে রক্ত দিয়েছে। সুতরাং আমাদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক, ঐতিহাসিক সম্পর্ক।