আগামীকাল রবিবার (৩০ আগস্ট) সারাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে পালন করা হবে দিনটি। পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনটি সরকারি ছুটির দিন।
গত ২১ আগস্ট শুক্রবার থেকে পবিত্র মহররম মাসের গণনা শুরু হয়। সে হিসেবে ৩০ আগস্ট রবিবার হচ্ছে ১০ মুহররম, যেদিনটি পবিত্র আশুরা হিসেবে পালিত হয়। আশুরা মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের একটি দিন। হিজরির সাল অনুসারে ১০ মহররম কারবালায় হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেনের মৃত্যুর দিনটি সারাবিশ্বের মুসলমানরা পালন করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন ইবনে আলী (রা.) হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার ফোরাত নদীর তীরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শাহাদাত বরণ করেন। এই শোক ও স্মৃতিকে স্মরণ করে সারাবিশ্বে মুসলিমরা আশুরাকে ত্যাগ ও শোকের দিন হিসেবে পালন করেন। বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয় আশুরা। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
দেশে শিয়া সম্প্রদায় মহররম মাসের প্রথম দশদিন শোক স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করে। আশুরার দিনে তাজিয়া বের করা হয় শোকের আবহে। মূলত ইমাম হোসেন (রা.) এর সমাধির প্রতিকৃতি নিয়ে এই মিছিলে হয়। আরবি ‘তাজিয়া’ শব্দটি শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার সব ধরনের তাজিয়া, শোক ও পাইক মিছিল নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইমামবাড়াগুলোতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা যাবে। কিন্তু এসব অনুষ্ঠানস্থলে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি ইত্যাদি বহন এবং আতশবাজি ও পট্কা ফোটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এএসবিডি/আরএইচএস