আমিনুল ইসলাম, চরফ্যাশন প্রতিনিধি৷৷ভোলা চরফ্যাশন জাহানপুর ইউনিয়নের মোঃ হেলাল চৌধুরী (৩৬) পাওনা টাকা চাওয়ার কারনে মোঃ হাসেম তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫) কে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করার অভিযোগ করেছেন৷
হেলাল চৌধুরী জাহানপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড মৃত জহুরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে ও জাহানপুর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক৷ অপরদিকে তাছলিমা বেগম জাহানপুর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের মোঃ হাসেম এর স্ত্রী৷
জানা যায়, হেলাল চৌধুরীর পাঁচ কপাট স্লুইসগেট মৎস আরদ থেকে ইলিশ মৌসুমে জেলে মোঃ হাসেম স্বাক্ষী গণের উপস্থিতিতে, সকল শর্ত মানিয়া, স্টাম্পে স্বাক্ষর করে, ১৩ লক্ষ টাকা মাছ ধরার বোটে দাদন হিসেবে গ্রহণ করেছে৷ কিন্তু অনেক দিন ধরে মাছ বা টাকা কিছুই না দেয়ার কারনে জেলে মোঃ হাসেম কে হেলাল চৌধুরী চাপ প্রয়োগ করেন৷ এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোঃ হাসেম তার স্ত্রী কে দিয়ে ১২ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখে ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন৷ যার পিটিশন নাং ৭২৮/২০২০৷
হেলাল চৌধুরী বলেন, আমি পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মোঃ হাসেম তার স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন৷
মামলার অভিযোগ পত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় বাদি বলেছেন, আসামি তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় অত্র মামলা দায়ের করিলাম৷ আবার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বলেছেন তার স্বামী মোঃ হাসেম নদীতে মাছ শিকারে গেলে রাত ১২ টায় ঘরের বেড়া ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন৷ এরচেয়েও অদ্ভুত বিষয় লক্ষ করা যায়, ঘটনার দিন বাদির স্বামী মোঃ হাসেম নদীতে ছিলো উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু ধর্ষণ মামলার স্বাক্ষীও তিনি৷
মামলার বাদি তাছলিমা বেগমের এক ফোন রেকর্ড থেকে জানা যায়, অপর পক্ষকে বলেছেন, আগামী দিন ১০ টার মধ্যে হেলাল চৌধুরী মোঃ হাসেম থেকে কোন টাকা পাবে না এই মর্মে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে তার কাছে জমা দিলে এ মামলা তুলে নিবেন৷ না হলে ধর্ষণ মামলা চলবে৷
এ বিষয়ে মামলার বাদী তাসলিমা বেগম বলেন, আমার স্বামী মোঃ হাসেম অনেক টাকা দেনা আছে৷ দেনাদারের ভয়ে সে এখন বাড়ির বাইরে পলাতক৷ এভাবে কয়দিন থাকবে? আপনারা একটা ফয়সালা করে দেন৷
মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন জাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ করেছেন এবং তাসলিমা বেগম ও মোঃ হাসেম এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছেন৷