মোঃ রনি মিয়া জগন্নাথপুর সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বীজে চারা
না আসায় জমি রোপন নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌর শহরের ডাকবাংলো রোডের সরকার অনুমোদিত ডিলারের বীজঘর থেকে চলতি বোরো মৌসুমে ধান বীজ অতিরিক্ত দামে ক্রয় করেন কৃষকরা ফলে এবার বীজধানে চারা না অাসার কারণে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হন।
তবে দীর্ঘদিন ধরে এ বীজঘরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে কৃষকদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, বীজ, সার ও গবাদিপশুর ঔষধ ক্রয়ে তাদের অতিরিক্ত দাম দিতে হয়।
এছাড়া মেয়াদ উর্ত্তিন্ন ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের ডিলারের বিরুদ্ধে।
বীজ ঘরের মালিক ডিলার বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অভিযোগের অন্ত নেই।
তিনি গরীব কৃষক ও জনসাধারণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের মাধ্যমে করে যাচ্ছেন নানা অপকর্ম।
ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল তাহিদ বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত মূল্যে বীজ ধান ক্রয় করলেও বীজে চারা আসেনি।
এখন আমি কিভাবে বোরে চাষ করবো।
এ অভিযোগ নিয়ে বীজ ঘরের মালিকের কাছে গেলে তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করে তাড়িয়ে দেন।
কৃষক খেলন মিয়া বলেন, এই বীজ ঘরে মেয়াদ উর্ত্তিন্ন পণ্য বিক্রয় করা হয়।
এ বছর আমি ব্রি- ধান ২৮ এর বীজ ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছি।
এ বীজেও চারা আসেনি।
হিজলা গ্রামের নজরুল বলেন, এই ঘর থেকে আমি আমার গবাদিপশুর জন্য ঔষধ নিয়েছিলাম।
মেয়াদ উর্ত্তিন্ন ঔষধ দিয়ে আমাকে ঠকানো হয়েছে।
উক্ত মাল নিয়ে গেলে, সে ফেরৎ রাখেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে,
বীজ ঘরের মালিক বিল্লাল হোসেন বলেন, বীজে কেন চারা আসেনি আমি জানি না।
এর জন্য দায়ী উপজেলা কৃষি অফিসার।
তাকে জিজ্ঞেস করেন,
তবে অন্যান্য অভিযোগ ঠিক নয়।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শওকত ওসমান মজুমদার জানান, বীজ বিএডিসি দিয়ে থাকে।
বীজে চারা না আসার অভিযোগটি আমরা পেয়েছি।
বীজে কেন চারা আসেনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।