মোঃনুরুজ্জামানমৃধা বাউফল প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় আওয়ামীলীগের স্থানীয় ভাবে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে বন্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান হাসান ও সাধারন সম্পাদক মাহামুদ রাহাত জামসেদ সহ যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অভিলম্বে কারামুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (২৪ নভেম্বর) মঙ্গলবার বাউফল পৌর শহরের কুন্ডপট্রি এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের (একাংশ) সামনে সকাল ১০ ঘটিকার সময় এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রায় ৫শতাধীক ছাত্রলীগের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সোহাগ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সূর্যমনি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান,সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাম্মুদ হাসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়া রুদ্র, পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী জোমাদ্দার, প্রচার সম্পাদক সরল চন্দ্র শীল,উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম গাঙ্গুলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম শিপন এবং পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জহির রায়হান তালুকদার প্রমুখ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ২৪ মে থানা-সংলগ্ন ডাকবাংলোর সামনে বাউফল পৌরসভার উদ্যোগে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে করণীয় বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা সংবলিত একটি তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় তাপস চন্দ্র দাস নামে এক যুবলীগ কর্মী আহত হয় এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি নিহত হন।
ওই ঘটনায় তাপসের বড় ভাই পঞ্চজ কুমার দাস বাদী হয়ে বাউফল থানায় ৩৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক (একাংশ) ও দাসপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ রাহাত জামশেদসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে,স্থানীয় আওয়ামীলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামীলীগের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক জুয়েল। নিহত তাপস স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজ সমর্থিত কর্মী ছিলেন।