মোঃ রনি মিয়া জগন্নাথপুর সংবাদদাতা::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কুশিয়ারার দুই পাড়ে বিভিন্ন গ্রামে নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, কৃষিজমি, মসজিদ, স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান সহ বিভিন্ন স্থাপনা। কৃষিজমি হারিয়ে নিঃস্ব গ্রাম বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। এই নদী ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, আশারকান্দি ইউনিয়ন থেকে শুরু হওয়া কুশিয়ারা নদী চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পর্যন্ত বড় অংশ কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তি হওয়া যে কোন সময় ভেঙে নদীতে চলে যেতে পারে আরো নতুন রাস্তা ও স্থাপনা। কুশিয়ারার তীরে দাঁড়িয়ে এ শঙ্কায় তাইতো কোনই কুল-কিনারা করতে পারছেন না স্থানীয়রা। এর মধ্যে রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে নোয়াগাঁও, আলমপুর, ভালিশ্রী নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জন সাধারন। বিশেষ করে উপজেলার সববৃহ বাজার রানীগঞ্জ বাজার-হলিকোনা বাজারের মূল রাস্তা নদী ভাঙ্গনে বিলীন হওয়া সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জানান, সাবেক চেয়ারম্যান মজলুল হকের বাড়ীর সামন দিয়ে চলে যাওয়া রানীগঞ্জ বাজার-হলিকোনা বাজারের রাস্তা প্রতিদিন ভাঙছে আগামী কয়েকদিন মধ্যে লোকজনের জন্য চলাচল করা বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। এ রাস্তা সহ এই উপজেলায় ভাঙনের মুখে আরও ৩ থেকে ৫ টি রাস্তা। ঘরবাড়ি কৃষিজমি হারিয়ে নিঃস্ব অনেকেই। সকলে চান দ্রুত ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান।
বিগত ১২ বছর ধরে নদীভাঙনে ক্ষয়ক্ষতি যেনো সীমা নেই। যার ফলে উল্লেখিত জনপদের বিভিন্ন পেশার লোকজন চাষাবাদযোগ্য জমি, বাসগৃহ, বনজসম্পদ বারবার হারানোর বেদনায় এলাকার বাতাসে দুঃখ ও হতাশার করুণ ধ্বনি শোনা যাচ্ছে।
তারা আরো জানান, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে দক্ষিণ ও উত্তর পাড়ের নদী ভাঙনের ফলে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা চরমভাবে উপেক্ষিত হচ্ছে। এলাকাবাসী সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, নদী ভাঙন সমস্যার সমাধান কল্পে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও বর্তমান সরকারের মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এএসবিডি/এমএমএ