দেশের ইতিহাসে প্রথমবার চীনের বাজারে প্রবেশ করল বাংলাদেশি আম। বুধবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাতক্ষীরা ও যশোরের ১০ টন আমের প্রথম চালান চীনে পাঠানো হয়।
দীর্ঘ প্রস্তুতি শেষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ রপ্তানি বাস্তবায়িত হয়। ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এটি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নতুন অধ্যায়। ভবিষ্যতে পেয়ারা ও কাঁঠালের রপ্তানিও বিবেচনায় রয়েছে।
রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বিমান ভাড়া কমাতে বিমান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের আম ৩৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২২ সাল থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রাজশাহীর চার জেলার আমচাষিরা এ মৌসুমে ৬ হাজার ৮৯২ কোটি টাকার আম বিক্রি করবেন, যার মধ্যে ৬৭ কোটি টাকার ৬,৭২০ টন আম রপ্তানি হবে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সফলতা অন্যান্য কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশেও সহায়ক হবে।