সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পাকিস্তানি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ১১ জুন মুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে! চামড়ার দাম নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল কলম্বিয়ার বোগোতা ডিসেম্বরে মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে : দুলু ভারতের পাঁচ জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ, ইন্টারনেট বন্ধ বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচে বাড়তি নিরাপত্তায় মোতায়েন হচ্ছে সোয়াট সোমবার থেকে সচিবালয়, যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ টিউলিপের চিঠির বিষয়ে প্রেস সচিব যা জানালো বেনাপোল ইমিগ্রেশনে ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতা বাংলাদেশ জমায়েতে ইসলামির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

‘একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য অভিনেত্রী বাঁধন’

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। শুধু অভিনয় নয়, সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে নিজের অবস্থান প্রকাশেও তিনি ছিলেন সোচ্চার। এমন এক বাস্তবতার উদাহরণ হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। জুলাই আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজপথেও সরব।

তবে সাম্প্রতিক সময়ের বাস্তবতায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ এই অভিনেত্রী। কীভাবে নিজেকে একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে আবিস্কার করেছেন-তুলে ধরেছেন সেই অভিজ্ঞতা।

রোববার (২৫ মে) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন সেই অভিজ্ঞতা। জানিয়েছেন, জুলাই গণভ্যুত্থানের পরে ও আগের বেশ কিছু ঘটনা।

অভিনেত্রী বাঁধন লেখেন, ২০২১ সালে যখন বলিউডের একটি সিনেমা ‘খুফিয়া’তে কাজ করলাম তখন আমি ছিলাম একজন গর্বিত ‘র’এজেন্ট। সিনেমায় সহ-অভিনেতা হিসেবে ছিলেন তাবু। কিন্তু এরপরই ঘটনায় মোড় নেয়, যখন আমাকে সিনেমার প্রেমিয়ারে যেতে বাধা দেয়া হলো।

বাঁধন লেখেন, আমার ভিসা একবার দুইবার নয়, পাঁচবার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রত্যাখান করা হলো। কারণ হিসেবে তারা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে একটি ছবি দেখায় এবং এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়। এরপর আমি আমার দেশের কিছু উচ্চপদস্থ বন্ধুর সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি এবং এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পাই। খবর পাই, আমার সেই সিনেমার কোনো অভিনেতা এই ভিসা বিপত্তির জন্য দায়ী।

এর ফলে বলিউড ও কলকাতার একাধিক সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বলেও জানান বাঁধন।

এরপর বাঁধন কথা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আমাকে বলা হয় আমি সিআইয়ের এজেন্ট এবং ইউএসএইড থেকে টাকা নিয়েছি এবং এই অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী। এরপর বলা হয় আমি জামায়াত কর্মী। কারণ আমি আমার প্রোফাইলে এক জামায়াত নেতার ছবি শেয়ার করেছি।

এরমধ্যে আমাকে বলা হয় আমি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদস্য। তারপর গতকাল রাতে আমাকে আবারও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘র’ এজেন্ট বলা হলো।

এখানেই শেষ নয়, বাঁধন জানান, তার এক কাছের বন্ধু, যিনি বর্তমান সরকারে আছেন, তিনি বলেছেন, টাকা খাইছো?

হতাশা প্রকাশ করে বাঁধন বলেন, কী ধরনের সমাজে বাস করি আমরা। এখানে কেউ দেশকে ভালোবাসে না। এবং মনে করে কেউই দেশকে ভালোবাসে না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102