প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম।
১৩ মে জামায়াতে ইসলামী দলের নিবন্ধন ফিরে পেতে করা আপিল শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ মন্তব্য করেন তিনি।
২০০৮ সালে জামায়াতকে সাময়িকভাবে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ দলটির নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয়। পরে ২০১৮ সালে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এছাড়া ‘দাঁড়িপাল্লা’ প্রতীক সুপ্রিম কোর্টের ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায়, ২০১৭ সালে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা সংশোধন করে তা বাতিল করা হয়। বর্তমানে জামায়াত নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের শুনানি সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।