দেশের উচ্চশিক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করে রাজধানীর খিলগাঁও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ মে ২০২৫ উদ্বোধন হলো সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস।
জমকালো আয়োজনে আয়োজিত এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ, প্রশাসক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এটি দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নানা সংকটে জর্জরিত। কিন্তু সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি একটি ব্যতিক্রম, যারা নিয়ম মেনে এবং মান বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক উদাহরণ।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা আজিজুল বারী শিপু, লায়ন মীর আব্দুল আলিম, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. একরামুল ইসলাম এবং ব্যবসায় অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আল আমিন মেল্লা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর শামীম আরা জাহান বলেন, “স্থায়ী ক্যাম্পাস শুধু একটি ভবন নয়, এটি আমাদের স্বপ্নের প্রতিফলন। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা এখানে শুধু ডিগ্রি অর্জন করবে না, তারা যেন মানবিক, দক্ষ ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।”
তিনি আরও বলেন, “এই ক্যাম্পাস হবে জ্ঞানের চর্চা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র। আমরা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছিলো ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসিনা রহমান বলেন, “নিজস্ব ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে পারাটা আমাদের জন্য গর্বের। আজকে আমাদের অনেক দিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো।
কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, “নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাসে শুধু পরিকাঠামো নয়, এখানে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্তরিকতা ও সুযোগ-সুবিধা আমাদের শেখার আগ্রহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।”
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধান, সমন্বয়ক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন অতিথিবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ইতোমধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার সুচারু সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদী, এই একটি আধুনিক ও আদর্শ শিক্ষার মডেল।