বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১০:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

লিঙ্গ পাল্টাতে গিয়ে দিল্লিতে ৫ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার!

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫
প্রতীকী ছবি

লিঙ্গ পরিবর্তন করতে গিয়ে দিল্লিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫ বাংলাদেশি। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী মেট্রো স্টেশনের কাছ থেকে এই ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশ যেসব বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেপ্তার করেছে, তারা সকলেই অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং নাম বদলে ভারতে থাকছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক সকলেই দিল্লিতে হরমোনাল ট্রিটমেন্টের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছুদিনের মধ্যে তাদের লিঙ্গ পরিবর্তনের সার্জারিও হওয়ার কথা ছিল।

বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে দিল্লি পুলিশের একটি স্পেশাল টিম ওই অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে নজর রাখে ওই ব্যক্তিদের উপর। শেষ পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ আরও, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে পাসপোর্ট, ভিসা কিছুই নেই। এজেন্টের সাহায্যে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত পার করে তারা। সেখান থেকে তারা দিল্লি এসে পৌঁছান। দিল্লিতে তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা করাচ্ছিলেন।

নিজেদের পরিচয় গোপন করার জন্যই তারা লিঙ্গ পরিবর্তনের কথা ভাবছিলেন বলেন দাবি পুলিশের। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

আটক ব্যক্তিদের পরিচয় পুলিশ জানিয়েছে, যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের নাম- মোহাম্মাদ শাকিদুল, তিনি শেরপুরের বাসিন্দা।

মোহাম্মাদ দুলাল আখতার ওরফে হাজরা বিবি, তিনি জামালপুরের বাসিন্দা। মহম্মদ আমিরুল ইসলাম ওরফে মোনিকা, তিনি ঢাকার বাসিন্দা।

মহম্মদ মাহির ওরফে মাহি, তিনি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা। সাদ্দাম হুসেন ওরফে রুবিনা, তিনি দিনাজপুরের বাসিন্দা। প্রত্যেকেই হরমোনাল থেরাপি করাচ্ছিলেন। লিঙ্গ পরিবর্তনের প্রাথমিক সার্জারিও শুরু হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, এদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই জাল পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এই পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ করে ভারতের কিছু চক্র। বস্তুত, গত মার্চ মাসে দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে এমন বেশ কিছু চক্রের হদিস পেয়েছে পুলিশ।

দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, দিল্লির এই চক্র অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশ করানো থেকে শুরু করে তাদের হাতে জাল পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া পর্যন্ত সমস্ত কাজ করে।

তাদের থাকার ব্যবস্থাও করে দেয় চক্রটি। বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে এই কাজ করা হয়।

উল্লেখ্য, মার্চ মাসে আট বাংলাদেশি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকেও গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই জাল পরিচয়পত্র দেখিয়ে দিল্লির বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিলেন।

অনলাইন খাবার ডেলিভারির কাজের সঙ্গেও তারা যুক্ত হয়েছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

দিল্লি পুলিশের আরেক অফিসার জানিয়েছেন, মইনুদ্দিন একা নন, তিনি একটি চক্রের অংশ। দেশজুড়ে একটি বড় চক্র গড়ে উঠেছে বলে তার দাবি। ইতিমধ্যেই পুলিশের বিশেষ দল ওই চক্রের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিক আশিস গুপ্ত জানিয়েছেন, এমন চক্র হঠাৎ গড়ে উঠেছে এমন নয়। সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের এমন বহু চক্র কাজ করে। বিএসএফ-এর দায়িত্ব সীমান্তেই ওই চক্রগুলিকে ধরা।

আশিসের অভিযোগ, সীমান্তের ওই চক্রগুলির হাত অনেক লম্বা। তাদের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক যোগাযোগ আছে। ফলে কখনোই তাদের সকলকে ধরা হয় না।

চলতি সপ্তাহে যে রূপান্তরকামী বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সত্যিই রূপান্তরকামী, নাকি পরিচয় বদলের জন্য তারা একাজ করছিলেন, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, রুপান্তরকামী বলেই তারা চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছিলেন। স্রেফ পরিচয় বদলের জন্য লিঙ্গ পরিবর্তনের সার্জারি করা সহজ কাজ নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102