সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন

ইরানের নতুন চমক ‘ভূ-গর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি’

আলোকিত স্বপ্নের বিডি
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

অ্যারোস্পেস ডিভিশনের অধীনে একটি নতুন ‘ভূ-গর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি’ উন্মোচন করেছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। ইরানের শতাধিক গোপন সামরিক স্থাপনার মধ্যে এটি অন্যতম।

বার্তা সংস্থা মেহের বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূ-গর্ভস্থ এই ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ।

ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, বিশাল এ সামরিক স্থাপনাটিতে কেইবার শেকান, শহিদ হাজ কাসেম, কাদর-এইচ, সিজ্জিল এবং এমাদ-সহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ রয়েছে।

আইআরজিসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদের ভাষ্য, ‘ইরানের লৌহ মুষ্টি আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী’।

জেনারেল বাকেরি বলেন, ‘যে সমস্ত প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা আমাদের প্রয়োজন, তার সবকিছুই আমরা অর্জন করেছি। এখন আমরা ‘ট্রু প্রমিজ-২’ অভিযানের চেয়ে দশগুণ শক্তিশালী’।

জেনারেল বাকেরি আরও বলেন, ‘শত্রুরা আমাদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির গতি অনুসরণ করতে পারবে না। আমরা শক্তি বৃদ্ধি ও আধুনিকায়নের পথে অবিচল রয়েছি’।

২০২৪ সালে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ-১’ এবং ‘ট্রু প্রমিজ-২’ পরিচালনা করেছিল ইরান। এই অভিযানে শত শত ব্যালেস্টিক মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করা হয়। যা ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনাগুলোতে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে আঘাত হানে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের এই নতুন ‘মিসাইল মেগাসিটি’ কৌশলগত দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তির ভারসাম্য পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102