শরিফা বেগম শিউলী রংপুর প্রতিনিধিঃরংপুর সদর উপজেলার ৪নং সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে কাটাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি বলেন, রংপুরের মাটি জাতীয় পার্টির ঘাঁটি, রংপুরের মাটি এরশাদের ঘাঁটি। এরশাদ হলেন সারা বাংলার নবাব, শাসক,ও দয়ালু ছিলেন। তিনি এই বাংলার মাটিতে লাঙ্গল প্রতীক প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। এই রংপুরের মাটিতে লাঙ্গল ছাড়া আর কেউ জয়ী হতে পারে না।
যুগ যুগ ধরে এই রংপুরের মাটিতে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের লাঙ্গল শাসন করে গেছেন। কেউ কোনদিন মিথ্যা অপবাদ, অপপ্রচার, অপশক্তি প্রয়োগ করেও রংপুরের মাটিতে লাঙ্গল কে দাবিয়ে রাখতে পারে নাই। আগামীতেও দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আগামী ২০ অক্টোবর ৪নং সদ্যপুস্করনী উন্নয়নে লাঙ্গল মার্কা বিপুল ভোটে জয়ী হবে ইনশাল্লাহ।
রংপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির সাবেক ছাত্রনেতা মাসুদ নবী মুন্না বলেন, শেখ হাসিনার বাসা গোপালগঞ্জ। সেই গোপালগঞ্জে কাউকে যদি নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়। সেখানে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বাসা বগুড়া। সেখানে যদি কাউকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হয়। সেখানে ধানের শীষ জয়ী হয়। কিন্তু সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বাসা রংপুর। তাহলে রংপুরেও লাঙ্গল ছাড়া অন্য কেউ জয়ী হতে পারে না। তাই আমি বলতে চাই ৪নং সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নে ২০ তারিখে লাঙ্গলে জয়ী হবে। এছাড়া অন্য কেউ জয়ী হতে পারেনা।
জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিক মার্কা মনোনীত প্রার্থী মোঃফজলুল হক (ফুলবাবু) বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি স্যার ভালোবেসে আমাকে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক মার্কা দিয়েছেন। রংপুরের মাটি এরশাদের ঘাটি। আমাদের পল্লীবন্ধু হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের লাঙ্গল প্রতিক মার্কা বিজয়ী হবেই হবে। আমি নির্বাচিত হলে ৪নং সদ্যপুস্করনী ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো।
নির্বাচনী জনসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক রাজু আহমেদ, মুফতি হোসেন আলী, হাফেজ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।