এএসবিডি নিউজ ডেস্কঃ আমাদের পূর্বের রেজাল্ট দেখে যদি রেজাল্ট দেওয়া হয় তাহলে নাকি আমরা বৈষম্যের স্বীকার হবো?।তাহলে আমেরিকার মত উন্নত রাষ্ট্রে কিভাবে দিলো?।তারা কি আমাদের থেকেও অনগ্রসর চিন্তা চেতনার লোক?।
আর আমাদের রাষ্ট্রে জিপিএ দেখে জব দেয় নাকি?।
পড়ালেখা শেষ করার পর চাকরির জন্যতো আবার পরীক্ষা দিয়েই টিকতে হয় তাহলে কিসের বৈষম্য?। ও তাহলে মানুষে বলবে আমাদের পূর্বের রেজাল্ট দেখে আমাদেরকে প্রমোশন দিছে?। হুম পূর্বের পরীক্ষা গুলোতো আমারাই দিয়েছি খোচা মারার লোকেরাতো আর দেয়নাই!
আরেকটা কথা বলি জীবনের মূল্য বেশি নাকি অন্যের খোচা মারা কথা না শুনার জন্য জীবনের বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার মূল্য বেশি?
অবশ্যই জীবনের মূল্য বেশি কারন যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ্ব! মানুষতো সব সময় অনেক কথা বলবে কারণ আমরা পূ্র্বেও দেখে আসছি। যেমন কোনো ছাত্র যদি নামকরা প্রতিষ্ঠানে না পড়ে তখন তার পরিবারকে খোটা দেওয়া হয় যে,আপনার ছেলেতো পাবলিকে চান্স পাবেনা, যখন চান্স পায় তখন বলে ঢাবিতেতো আর চান্স হলোনা! আবার প্রশ্ন করবে সাবজেক্ট কি পাইছে? যদি বলা হয় ইসলামিক স্টাডিজ,তখন বলবে পাবলিকে চান্স পাইলে কি হইছে সাবজেক্টো ভালো পাইলোনা, সে তো ভালো জব করতে পারবেনা!যখন সে পড়ালেখা শেষ করে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে টিকলো তখন বলবে পররাষ্ট্র ক্যাডার তো আর পাইলোনা।
এইভাবে মানুষ সব সময় বলে আসছে কিন্তুু যে পরিবার গুলো এইসব কথা বলে আসছে তাদের ছেলেমেয়েরাই শেষ পর্যন্ত কামলাগিরি করে! সুতারং লোকে কি বলবে ভেবে জীবনের বিনিময়ে পরীক্ষা অংশগ্রহণ করা বোকামি!
আরেকটা কথা হলো আমরা হলাম শিক্ষিত লোক আমরা যদি বৈষম্যের কথা চিন্তা করি তাহলে আমাদের শিক্ষার আর কি মূল্য রইলো? আমাদের চিন্তা চেতনা হতে হবে ব্রডমাইন্ডের!
ন্যারো মাইন্ডের লোকেরা তো মূর্খে লোকের চেয়েও অধম! আমরা সবসময় বৈষম্যেরর বিরুদ্ধে কারন আমরা শিক্ষিত আমরাতো বৈষম্যকে ভয় পাওয়ার লোক নয়,যারা বৈষম্য করবে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর লোক আমরা, কারন আমরা শিক্ষিত!
পরিশেষে বলবো শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার পরীক্ষা নয়, তাই জীবন বাজি রেখে করোনার মাঝে এইচএসসি নয়!
এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে”এস এন নাদের নিহাল”কলেজ:ক্যামব্রিয়ান কলেজ বিভাগ:বিজ্ঞান বিভাগ।