উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকশানের শঙ্কায় চাষিরা।
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে লবন উৎপাদন মওসুমে চাষিরা মাঠে নতুন লবন তুলতে শুরু করেছে । ক্রমেই আগাম লবন উৎপাদনে চাষিরা মাঠে নামছে। নভেম্বরের মাঝামাঝিতে লবন মাঠ তৈরিতে চাষিরা মাঠে নেমে থাকে। তবে চলতি লবন উৎপাদন মওসুমে অক্টোবরে নেমেছে মাঠে। ফলে ইতিমধ্যে লবন মাঠে নতুন লবন উঠতে শুরু করেছে ।
উপজেলার লেমশীখালী, কৈয়ারবিল, উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে লবন চাষ বেশি হয়ে থাকে। আলী আকবর ডেইল ও বড়ঘোপ ইউনিয়নেও কিছুটা চাষ হয়। চলতি লবন মওসুমে উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার একরের বেশি জমিতে লবন উৎপাদন হচ্ছে বলে স্থানীয় বিসিক সূত্র জানিয়েছে। উপজেলায় শতাধিক লবন ব্যবসায়ি রয়েছেন। এছাড়া লবন উৎপাদন ছাড়াও শ্রমিক, পরিবহণ, কার্গো বোটে লবন লোড সবই চাষিদের খরচ থেকে কেটে নেয়া হয়। গত বছর বেশ কয়েকবার লবনের দরপতন হয়। বৈরি আবহাওয়া, বৃষ্টি নানা কারণেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চাষিরা। লবনের দাম বৃদ্ধি ও বাহির থেকে লবন আমদানি হবেনা-এমন আশ্বাসে চাষিরা পুরোদমে লবন মাঠ তৈরি ও কাজে ব্যস্ত এখন।
স্থানীয় লবণ চাষীরা বলেন, কার্তিক মাসের প্রথমেই মাঠ তৈরি করছেন। মাত্র ১৭ দিনেই তিনি লবন পেয়েছেন মাঠে। ইতিমধ্যে ৬০ মণ লবন তিনি বিক্রি করেছেন প্রতিমণ ২৫০ টাকা দরে। অথচ পুরাতন লবনের দাম এখন ৩২৫ টাকা মণ। তিনি আরো বলেন, লবন মাঠের শ্রমিমের মূল্য অনেক বেশি। প্রতিদিন ১জন শ্রমিককে দিতে হচ্ছে ১২০০ টাকা। অনেকে পুরো মওসুমের জন্য (৭ মাস) ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। পলিথিন, জমির লাগিয়ত মূল্য,কীটনাশক প্রভৃতি মিলে খরচ অনেক বেশি এবার। কিন্তু মাঠে লবনের দাম নেই। ভাল উৎপাদন হলে প্রতি একরে ৭০০ মণ লবন উঠতে পারে।
স্থানীয় লেমশীখালী বিসিক এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকের হোছাইন বলেন, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারিত হয়নি। নতুন করে জমির পরিমাণও জরীপ হয়নি। অন্তত ৬ হাজার ৬‘শ একর জমিতে লবন উৎপাদন হতে পারে।