রাজনীতিবিদ ও চলচিত্র জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়ক মো. মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের ইতোমধ্যে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। এই দলের নাম বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি থেকে অনিবার্জ কারণ বশত সংশোধোন করে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে সভা শেষে জানানো হয়।
এ উপলক্ষে রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নায়ক মো. মাসুদ পারভেজ সোহেল রানার সভাপতিত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন দলের বিশেষ সমন্বয়কারী ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল খানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী এম নাজিমুদ্দিন আল আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ তোশারফ আলী, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাবেক উপ-মহাপরিচালক ড. ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, নৌবাহিনীর কমোডর (অব.) সানাউল নোমান, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাব এডিটর ও ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার রিটের পিটিশনার মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ও জাতীয় ছাত্রসমাজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রফিকুল হাফিজ, রাজনীতিক ও লে. কর্নেল (অব.) সাব্বির আহমেদ, তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার সানাউল্লাহ নূর সাগর, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ, রাজনীতিক ডা. সালাহ উদ্দিন ভুইয়া, বিএলডিপির প্রেসিডিয়াম মেম্বার এম আমানুল্লাহ, মহিলা নেত্রী আনোয়ারা ইসলাম রানী, হাসিবুল ইসলাম জয়, রাজনীতিক গুলজার হোসেন, রাজনীতিক হিরু রহমান, সাবেক রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব আবদুর রহিম মনোয়ারা তাহের মানু ও কাজী শামসুল ইসলাম রঞ্জন সাজিউল ইসলাম রকি ও সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সভায় সকলের কাছ থেকে ২০টিরও অধিক নাম প্রস্তাব আকারে আসলে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি গৃহীত হয়।সভায় দীর্ঘ সময় ধরে দলের নীতি-আদর্শ, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি বিশ্লেষণ করা হয়। প্রত্যেকে তাদের স্ব স্ব মতামত প্রকাশ করেন এবং সভাপতি সেগুলো সমন্বয় করে দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণকর বিষয়গুলো সন্নিবেশিত করে দলের গঠনতন্ত্র ও ইশতেহার প্রণীত হবে বলে জানান তারা।