কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া উপকুলে জুড়েঁ চলতি মৌসুমে লবণের উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় প্রতি একরে ৩/৪শত মন লবণ উৎপাদন হয়েছে। গত অক্টোবর মাসের মাঝা-মাঝি সময়ে পুরোদমে লবণ চাষ শুরু হয় উপজেলা জুঁড়ে। আর চাষ শুরুতে লবণে মূল্য স্বাবাভিক থাকায় চাষীরা উৎসাহ নিয়ে চাষ করতে নামে চলতি মৌসুমে। চলতি মৌসুম শুরুতে লবণের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকায় চাষীদের মনে প্রচুর আনন্দ থাকলে,মাঝামাঝি সময়ে উৎপাদিত লবণের দাম কমতে থাকায় চাষীদের মনের আনন্দ থেমে যায়। অনেক চাষীরা লোকসানের শংকায় দিনাতি পাত করছেন। চলতি মৌসুমে চাষীরা লোকসান পোষায়ে নিজেদের স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখে লবণ চাষ শুরু করেছেন।তবে দিন দিন সব পন্য সামগ্রীর দাম বাড়লেও শুধু লবণের দাম কমেছে।
লবণ চাষী নূর হোসেন বলেন,গত অক্টোবরের প্রায় ৪ একর লবণ মাঠ লাগিয়ত নিয়ে চাষ শুরু করি। লবণ মাঠের সরাঞ্জাম ও শ্রমিকের বাজারদর বেশী থাকায় প্রতি একরে ১লক্ষ ২০/৩০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। চলতি মৌসুম শুরুতে লবনের ভাল দাম থাকায় অনেক আশা নিয়ে চাষ করতে নামি । মাঝামাঝি সময়ে মূল্যে কমে যাওয়ায় লোকসানের শংকায় রয়েছি। শেষ সময়ে যদি আরও লবনের দাম কমে যায় তাহলে চাষীদের অপূরণীয় ক্ষতি সম্ভবনা রয়েছে।
উপজেলার কবির নামের আরেক লবণচাষি বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।তবে, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন লবণ দালাল সিন্ডিকেটেরা।
দুই বছর ধরে উপজেলার লেমশীখালী, উত্তর ধুরুং ও দক্ষিণ ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।লবণচাষি ওসমান ও নেছার জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।
বিসিক সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদনের জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৭শ একর। অর্থাৎ ১৬ হাজার ৭শ ৫০ কানি জমিতে লবণ উৎপাদন হচ্ছে।