বগুড়ায় এক রিক্শা চালকের স্ত্রীকে স্কুলে চাকরির ব্যবস্থা করে দিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম। গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বগুড়া কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় চাকরির নিয়োগপত্রের পাশাপাশি তাকে ল্যাপটপ, ২ বান্ডিল টিন, স্বামীর ঋণ পরিশোধের জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং হাত খরচ আরও ৬ হাজার টাকা দিয়েছেন। বগুড়া জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার গাবতলী উপজেলা নশিপুর ঠিকাদার পাড়ার ফেরদৌস মন্ডল পেশায় রিকশা চালক। লেখাপড়ার ইচ্ছে থাকলেও পারিবারিক কারণে কিশোর বয়সেই সংসারের হাল ধরতে হয়। প্রাথমিক স্কুল পেরিয়েই রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সে বিয়ে করেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার নাংলু গ্রামের সীমানুর খাতুনকে। ফেরদৌস মন্ডল যখন বিয়ে করেন তখন তার স্ত্রী সীমানুর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। নিজে লেখা পড়া করতে না পারলেও রিকশা চালিয়ে স্ত্রীকে লেখাপড়া করান। সীমানুর ধুনট কলেজ থেকে বিএ পাশের পর মাস্টার্স সম্পন্ন করতে ভর্তি হন বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে। এই কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করেন সীমানুর। রিকশা চালক ফেরদৌস ও তার স্ত্রী সীমানুরকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বগুড়ার জেলা প্রশাসককে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করতে বলেন। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম সীমানুরের হাতে বগুড়া কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখায় চাকরির নিয়োগ পত্র তুলে দেন। বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম জানান, নিয়োগপত্র পেয়ে গৃহবধু সীমানুর খাতুন স্কুলে যোগদান করেছে। চাকরী দেওয়ার পাশাপাশি সীমানুরের স্বামী রিকশা চালক ফেরদৌস মন্ডলের রিক্সা কেনার ঋণ পরিশোধের জন্য ২৫ হাজার টাকা, বাড়ি সংস্কারের জন্য ২ বান টিন ও একটি ল্যাপটপসহ অন্যান্য খরচেন জন্য ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।