জয়পুরহাট জেলার পাঁচটি উপজেলাই চলছে তিন ফসলি জমি, নদী ও বাঁধের পাশ থেকে মাটি খনন করে বিক্রির মহাৎসব । জেলায় প্রায় শতাধিক জমিতে এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে মাটি বিক্রয় চলছে । এর ফলে বিক্রি করা মাটি ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি পরিবহনের সময় ট্রাক্টরের চাপে গ্রামের মাটির রাস্তা এবং পিচঢালা রাস্তার মাটি ডেবে যাচ্ছে। এটেল মাটি পিচ ঢালা সড়কের উপর পড়ে বিটুমিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছেএবং এসব রাস্তাই সামান্য বৃষ্টির পানি পড়লেই চলাচল কারি যানবাহন গুলি পড়ে মারাত্বক দুর্ঘটনাই।জানা যায় পুকুর খনন করা মাটি দূরত্ব ভেদে ট্রাক্টর প্রতি ৩৫০- ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। খনন করা এসব ফসলি জমি এবং পুকুর করার জন্য সরকারি কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি।
সারা জেলাতে রয়েছে বেশ কয়েক জন ভুমি বিনষ্ট কারি সিন্ডিকেট তারা সাধারণ লোকজনকে নানান প্রোলোভন দেখিয়ে এসব অপকর্ম করে দিদারছে চালাচ্ছে মাটির ব্যবসা।ভেকু মেশিন দিয়ে এসব মাটি কেটে বিক্রি করে অনেকেই ঘুরিয়েছে ভাগ্যের চাকা । প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ফসলি জমির মাটি কাটছে স্থানিয় কিছু প্রভাবশালিদের নাম ভাঙ্গিয়ে।। এভাবে মাটিকাটার ফলে মাটির উর্বরতা যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি পাশের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার।
ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল গ্রামের কৃষক রহিম ও সোলার পাড়া গ্রামের কৃষক মজনু মিয়া জানান, উৎপাদিত সকল ফসলে লোকসান হওয়ায় আমরা ঋণের বোঝা লাঘবের জন্য ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছি।
ক্ষেতলাল উপজেলার মাটি ব্যবসায়ী আসলাম ও আক্কেলপুর উপজেলার মিজান জানান, জমির বিক্রিত মাটির দূরত্বের উপর নির্ভর করে মাটির কমবেশি দাম নির্ধারিত করা হয়।
ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আফতাবুজ্জামান আল- ইমরান জানান, মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী কোন ফসলি জমির মাটি ড্রেজার বা মেশিন দিয়ে মাটি কাটা নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সবসময় সচেষ্ট রয়েছে। কোন অভিযোগ পেলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জয়পুরহাট এর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন জমির উপরিভাগের পুষ্টিযুক্ত মাটিগুলো কাটা হচ্ছে, এখনই মাটিকাটা বন্ধ না করলে খাদ্য নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব হবে না।