মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন

নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নৈতিক দায়িত্বঃ হাবিবুন নাহার।

মোঃ মাসুম শেখ, উপজেলা প্রতিনিধি রামপাল।
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৪
নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব -হাবিবুন নাহার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকী আর তিনদিন। সারাদেশে বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে জাতীয় সংসদের ৯৭ বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) সংসদীয় আসনেও জমে উঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই আসনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের ছয়জন এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাতজন প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনের মাঠে প্রচার প্রচারণা সবার সমন নয়। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদারের মধ্যে ভোটের লড়াই হবে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশে নানামুখী উন্নয়ন করেছে। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তারা দেশে উন্নয়ন তো করেইনি বরং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে আর নিজেদের পকেট ভারী করছে। আওয়ামী লীগ সরকার দূর্ণিতী করতে ক্ষমতায় আসেনি, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আগে রাজধানীতে যেতে নদী পথে পার হতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হত। আমাদের জন্য শেখ হাসিনা বিশ্ব ব্যাংকের চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে দিয়েছে। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে তারা দেশকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছিল। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিজ দলের মধ্যে মনোনয়ন বানিজ্য করে ভরাডুবি হয়েছিল। তিনি আরও বলেন যে, ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দেয়, আজ তার বাস্তবায়ন হয়েছে। এখন মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট। আমাদের ছেলে মেয়েদের জন্য প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থার জন্য দেশের প্রতিটি স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য কিছুই করেনি। দক্ষিণাঞ্চলের যত উন্নয়ন হয়েছে তা সবই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হয়েছে।
দেশের উন্নয়ন ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বার্থে শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ভোট দেওয়া এ অঞ্চলের মানুষের নৈতিক দ্বায়িত্ব। দেশের মানুষ এখন সচেতন, মানুষ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। দেশের জনগণ ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তির হাতে এ দেশ তুলে দিবে না। আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে টানা পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আনবে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রামপাল উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী গিলাতলা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাওলাদার আবু তালেবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কুদরতি ইনামুল বাশার বাচ্চুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোল্লা আ. রউফ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক তালুকদার নাজমুল কবির ঝিলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. নুরুল হক লিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. হোসনেয়ারা মিলি, ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ ফকির, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, তাতী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিভাষ হালদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ নিজাম উদ্দিন, মোতাহার রহমান, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেখ আব্দুস সবুর, ইউপি চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ বজলুর রহমান, গাজী আক্তারুজ্জামান, গাজী গিয়াস উদ্দিন, শেখ নুরুল আমিনসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
নির্বাচনী জনসভা শুরুর আগে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে জয় বাংলা, জিতবে আবার নৌকা স্লোগান নিয়ে হাজার হাজার মানুষ মাঠে প্রবেশ করে। এসময় নির্বাচনী জনসভার মাঠ সাধারণ মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ হয়। নৌকা প্রার্থীর জনসভায় ৬ থেকে ৭ হাজার নৌকার সমর্থক উপস্থিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
  • © All rights reserved © 2019 alokitoswapner-bd.com - It is illegal to use this website without permission.
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102