বুধবার (১১ অক্টোবর) নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত অগ্নিযুগের বিপ্লবী আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা অধ্যাপক পুলিশ দে এর ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম সিটির সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, বিপ্লবী ও অধ্যাপক পুলিন দে এর মত সাদাসিধে রাজনীতিক এখন নেই বললেই চলে। আজ স্বীকার করতে হয়, নেতার প্রতি কর্মীর শ্রদ্ধা এবং কর্মীর প্রতি নেতাদের মমত্ব নেই বললেই চলে।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও পশ্চিমা বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের উপর হামলে পড়েছে।
বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ আজ উদ্বিগ্ন। অথচ আমাদের দেশে ক্ষমতালোভী মার্কিন ও পশ্চিমা বিশ্বের সেবক বিএনপি ও ইসলামিক দলগুলো রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এদের বিরুদ্ধে জাতিকে সতর্ক হতে হবে এবং এদের অপরাজনীতি মোকাবেলা করার হিম্মত অর্জন করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বীর বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের সহযোদ্ধা প্রয়াত অধ্যাপক পুলিন দে যে স্বাধীন মুক্ত ও যুক্ত বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়ে নেহেরু-প্যাটেন জিন্নাহ ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান নামক একটি অবৈজ্ঞানিক অবাস্তব ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান গঠিত হলেও বাঙালির পায়ে নতুন করে দাসত্বের শৃঙ্খল আবদ্ধ হয়। তা থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তারই সহযোদ্ধা ছিলেন বিপ্লবী পুলিন দে। এই অসাম্প্রদায়িক নেতা বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির জনকের সহযোদ্ধা ছিলেন। তিনি প্রকৃত অর্থে আপাদমস্তক বিশুদ্ধ রাজনীতিক এবং শুদ্ধাচারি মানুষ। এই মানুষটিকে আমরা যথার্থ সম্মান জানাতে পারিনি, এটা আমাদের আত্মগ্লানি ও ব্যর্থতা।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সৈয়দ মো. জাকারিয়া ও ইকবাল হাসান প্রমুখ।