মো:শাহজালাল রানা:চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নকে ব্যাহত করতে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের রুখতে ঐক্যবদ্ধতার কোন বিকল্প নেই। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ভিত্তি দেশ ও জাতিকে সম্মুখ দিকে নিয়ে যাওয়ার একটি আদর্শিক শক্তি ও ভিত্তি। এই সুসংহত শক্তি সংগঠনকে আরো গতিশীলতা দেবে। আমিও চাইছি আপনারাও সাংগঠনিকভাবে সেই পথে প্রাণিত হবেন। তিনি আরো বলেন, মতের ব্যক্তিক ভিন্নতা যা-ই থাকুক আমাদের কিন্তু দলীয় সংহতির রক্ষার্থে সকলকে আপন করে নিতে হবে। এই আপন শক্তি দেশ, জাতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তি। এই আপন শক্তিই পারে সুন্দর একটি নির্বাচন করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিতে। আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দলের স্বার্থে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
শনিবার ১২ সেপ্টেম্বর রাতে আয়োজিত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী পরিষদের সাথে মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম.রেজাউল করিম চৌধুরী।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সকল সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত পরিচালিত হচ্ছে এবং হবে। ক্ষমতাসীন সরকারের সকল শুভ উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে দলীয় নেতাকর্মীদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। সুন্দর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের জিতাতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা প্রকৃত সংগঠন করেন তারা কখনো দলীয় সিদ্ধান্তে বাহিরে যেতে পারেন না। আমি চাইবো আপনারা আপনাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন। অন্যথায় দলের স্বার্থে আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো। তখন কিন্তু অন্য কোন সুযোগ থাকবে না।
নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, নির্বাচন এত সহজ জিনিস নয়, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি চাইবো এখনো সময় আছে, যারা দলীয় সিদ্ধান্তে বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিবেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, আত্মঘাতি কর্মকান্ড থেকে নিজেদের বিরত থাকতে হবে। পরস্পর পরস্পরকে হেয় করার অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। যদি তা করতে না পারি তাহলে দিন শেষে ক্ষতি হবে মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের। একথা সকলকে মনে রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন থেকে সরে না এসে যদি কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাবে আওয়ামী লীগ। তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ তারাই নির্ধারণ করেন। প্রয়োজনে এই ব্যাপারে হাই-কমান্ডের সাথে আলোচনা করা হবে।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. সুনীল কুমার সরকার, সিডিএ’র চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, আলহাজ্ব এম.এ রশীদ, সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান ও কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও গবেষণা মশিউর রহমান চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আহমেদুর রহমান সিদ্দিকী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জোবায়েরা নার্গিস খান, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো: শহীদুল আলম, জহর লাল হাজারী, সদস্য আলহাজ্ব এম.এ.জাফর, নুরুল আবছার মিয়া, সৈয়দ আমিনুর রহমান, আলহাজ্ব পেয়ার মোহাম্মদ, গাজী শফিউল আজম, কামরুল হাসান ভুলু, বখতিয়ার উদ্দিন খান, গোলাম মাহমুদ চৌধুরী, সাইফু উদ্দিন খালেদ বাহার, আহম্মেদ ইলিয়াছ, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, আলহাজ্ব মহব্বত আলী, হাজ্বী মো: ইলিয়াছ, ড.নিছার উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহম্মেদ, মো: মোরশেদ আকতার চৌধুরী সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ।
সভাশেষে মেয়রপ্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাহারি খাবারের আয়োজনে নৈশভোজে অংশ নেন নেতারা।