পটুয়াখালীতে কঠোর লকডাউনে দিশেহারা অটো-রিক্সা চালকেরা।
মিজানুর রহমান অপু,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে জনজীবন বিপর্যস্ত।ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে প্রবেশ করায় বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিলে সমবেত শত শত মানুষ।
দেশের জনসাধারণের স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় গত (২৩ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন।
সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বিত্তবানরা সুখে থাকলেও বিপদের সম্মুখীন নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষগুলো।
সারাদেশের ন্যায় পটুয়াখালীতেও কঠোর বিধিনিষেধে পালন হচ্ছে সর্বাত্মক লকডাউন।
রিক্সা ও অটো চলাচলে রয়েছে প্রশাসনের কড়া নিষেধাজ্ঞা।লকডাউন চলাকালীন সময়ে রিক্সা ও অটো চলাচল করতে দেখা গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
লকডাউন চলাকালে রাস্তায় রিক্সা ও অটো চলাচল যদি প্রশাসনের চোখে পড়ে তবে লকডাউনের ১৪ দিন আটক রাখা হবে রিক্সা/অটো।
গত ২৩ জুলাই থেকে শহরের মোড়ে মোড়ে মাইকিং করে জানিয়ে দেয়া হয় এই সিদ্ধান্ত।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে রিক্সাচালক ও অটো চালকেরা।
তারা রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটে,তাদের পরিবারে চলছে হাহাকার,দুবেলা দুমুঠো ভাত জুটছে না তাদের কঁপালে।
আবার এমতাবস্থায় দুর্ভোগের স্বীকার সাধারণ জনগনও।অতি জরুরী প্রয়োজনে মিলছে না রিক্সা বা অটোর দেখা। পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে।
আবার বিধিনিষেধ না মেনে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে কিছু কিছু অটো-রিক্সাগাড়ী চলতেও দেখা গিয়েছে শহরের বেশ কিছু এলাকায়,তবে তার সংখ্যা একেবারেই কম।
কঠোর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও রিক্সা নিয়ে বের হওয়ার কারন জানতে চাইলে পটুয়াখালীর সবাুজবাগ মোড়ে একজন রিক্সাচালক বলেন,
রিক্সা না চালাইলে খামু কি? দুই-চাইরজন প্যাসেঞ্জার পাইলে চাউল কেনার টাহা হইয়া যায়।প্যাডে খুদা না থাকলে কেউ এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় নামে না ভাই।পুলিশের গাড়ির শব্দ হোনলেই পলাই।ধরতে পারলেইতো রিক্সাডা আটকাইয়া রাখবো।’
অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাঁটছে এসকল নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষগুলোর। লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধের কথা বলতেই এই সকল দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের চোখে–মুখে ফুটে ওঠে অসহায়ত্ব আর হতাশা।সুশীল সমাজের বিত্তবানদের কাছে তাদের চাওয়া একটুখানি খাবার এমনটাই আশাব্যক্ত নিম্নবিত্ত আয়ের মানুষগুলো।