ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলহার-বারবাকপুর সড়কের কালভার্ট ভেঙ্গে পড়ার দুই বছরেও পুর্নঃ নির্মান করার জন্য নেওয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। এ কারনে প্রতিনিয়ত ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। তবুও দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে চলাচলের বিকল্প কোন ব্যবস্থা হয়নি। ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াত ও পন্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত কালভার্টটি ভেঙ্গে পরে থাকায় ঝুঁকিপূর্ন ভাবে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারন পথচারীদের, চলাচল বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার যানবাহন।
জানা গেছে, দুই বছর আগে পুর্নঃ খননকৃত সেনের খালের তীব্র ¯্রােতের কারনে কালভার্টটি ভেঙ্গে যায়। তারপর হতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ভাঙ্গা কালভার্ট দিয়ে পার হতে হয় শত শত শিক্ষার্থীসহ কয়েক গ্রামের হাজার হাজার মানুষদের। এ কারনে বারবাকপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ২৬নং বারবাকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২৯নং পূর্ব ফুলহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীসহ হাজারো পথচারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বিদ্যালয়গুলোর মাঝামাঝি এ কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার লোকের যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে মটর সাইকেল, রিকশা,ভ্যান,টেম্পু, ইজিবাইক, নসিমন, সিএনজি ও বিভিন্ন কোম্পানির পিক-আপ ভ্যানসহ বিভিন্ন রকমের মোটরযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী, বয়ষ্ক লোক এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা। কিন্তু দুই বছর পার হয়ে গেলেও কালভার্টটি সংষ্কারের আজো নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুই বছর ধরে কালভার্টটি ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়রা সুপারি গাছ ও কাঠ দিয়ে কোন ভাবে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ কালভার্টটি পুর্নঃ নির্মানের উদ্যোগ নিচ্ছে না। এতে করে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশষ্কা করছেন স্থানীয়রা। তাই সমস্যা সমাধান ও নতুন কালভার্ট নির্মানে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ায় স্থানীয়দের অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুই বছর আগে কালভার্টটি ভেঙ্গে গেলেও কালভার্টটির পুনঃ নির্মান করা হয়নি। ফলে পন্য পরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ রয়েছে। এলাকাবাসীর হাজার হাজার লোক ও বিভিন্ন প্রকার যানবাহন যাতায়াতের সমস্যা সমাধানে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কালভার্টটি পুনঃ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, সরজমিনে গিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্টটি পরিদর্শন করা হয়েছে, পুর্নঃ নির্মানের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।