বিএমএসএফ কর্তৃক প্রকাশিত নির্যাতিত ও ভয়ংকর স্থান তালিকায় রাজাপুর।
জাকির সিকদারঃ
সারা দেশে এক বছরেই নির্যাতিত ২৪৭ জন সাংবাদিক। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম( বিএমএসএফ) কর্তৃক ২০২১ বাদ রিপোর্টে বলা হয়েছে। ১৬ জুলাই কেন্দ্রীয় সাধারণত সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর ভার্চুয়াল প্রোগ্রামের মধ্যে দিয়ে এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
২০২০ সালে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৯৬ জন সাংবাদিক।
আর এতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এর দেওয়া আরেক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘করোনাকালেও মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করে দমন-পীড়ন বেড়েছে। বিশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেফতার বৃদ্ধি পেয়েছে। আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের তথ্য মতে ২০২০ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ৭২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মামলা দেয়া হয়েছে।
দেশের ১৬টি স্থান সাংবাদিকদের জন্য ভয়ঙ্কর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। এতে বলা হয়,
দেশের ৯ জেলার ১৬টি পয়েন্ট সাংবাদিকদের জন্য ‘ভয়ঙ্কর’ হয়ে উঠেছে। এসব স্থানে দফায় দফায় সাংবাদিক নীপিড়ন, নির্যাতন, মামলা হয়রানি এমনকি হত্যাকান্ডও ঘটেছে। বিপজ্জনক স্থানসমূহে ক্ষমতাসীন দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, চিহ্নিত অপরাধী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমনকি বিরোধী দলের নেতা কর্মিরাও সাংবাদিকদের উপর হামলা চালাতে দ্বিধা করছেন না। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, দলীয় চরম কোন্দলে জর্জরিত নেতারা সাংবাদিকদেরও পক্ষে বিপক্ষে ঠেলে দেন এবং পরস্পর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত করেন। সারাদেশেই কমবেশি সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনা ঘটলেও সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে হুমকিপূর্ণ এলাকাগুলো হচ্ছে, পাবনা, জামালপুর, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার, নোয়াখালী, ঢাকার সাভার ও ধামরাই, গাজীপুর সদর ও টঙ্গী, নারায়নগঞ্জের সদর, সোনারগাঁও ও রুপগঞ্জ, ঝালকাঠি জেলার সদর ও রাজাপুর। এছাড়া খোদ রাজধানীতেও উত্তরা, মিরপুর, যাত্রাবাড়ী এলাকা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাবলী পর্যবেক্ষণকালে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
বিএমএসএফ এর তথ্য, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ বিভাগের কর্তৃক প্রণীত গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহমত পোষন করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।