সুস্থ ও মেধাবী জাতিগঠনে প্রাণিজ পুস্টিকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের অভিযান।
করোনা পরিস্থিতিতে সবছেয়ে বড় হাতিয়ার হলো দেহের রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা, যেহেতু ভ্যাক্সিন অপ্রতূল তাই মাস-ইমিউনিটির বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে দুধ, ডিম, মাছ, মাংসে। এনজ্য প্রাণিজ পুষ্টির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জরুরি।
কুরবানি সহ বিভিন্ন সময়ে আমরা স্টেরয়েড, এন্টিবায়োটিক ও গ্রোথ হরমন ব্যাবহারের কথা শুনে থাকি, এর মুল কারণ হল কোয়াক তথা হাতুড়ে চিকিৎসক। তারা শুধু সাদা,লাল আর নিল বোতল/ ট্যাবলেট চিনে। অথচ চিকিৎসার মূল কাজ হল রোগ নির্ণয়, ওষুধের মুড অব একশন, বায়োক্যামিস্ট্রি, সিনারজেস্টিক, এন্টাগনাসটিক, কন্ট্রাইন্ডিকেশন সহ অনেক বিষয়ে সম্যক ধারণার প্রয়োজন হয় যা একমাত্র ভেটদের থাকে। বেশিরভাগ কোয়াক স্টেরয়েড, উচ্চমাত্রার এন্টিবায়োটিক ও গ্রোথ হরমন যত্রতত্র ব্যাবহারে অভ্যস্ত, কিন্তু সমস্যা হলো মাংসে এর রেসিডিউ থেকে যায় দিনের পর দিন, যা ভক্ষণের ফলে মানুষের ক্যান্সার সহ আন্ত্রিক জটিলতা দেখা দেয়। এই কোয়াকদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে নড়ে-চরে বসেছে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল। বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার ডা. ইমরান হোসেন খান বলেন বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের আমূল পরিবর্তন আনা হবে ভুয়া চিকিৎসক দমনে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল আইন ২০১৯ পাশ হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে বিধিও পাশ হবে, জনস্বার্থে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল সর্বদা অগ্রগামী থাকবে।