বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভারতীয় সেনারা ‘দ্রুত ও কার্যকরভাবে’ এর জবাব দিয়েছে।
গত মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক প্রাণহানির পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ওই হামলার জন্য ভারত সরাসরি পাকিস্তান-ভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ী করেছে। পুলওয়ামা হামলার (২০১৯) পর এটি ছিল কাশ্মীর উপত্যকায় সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ইতোমধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ছয় দশকের পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা ও আত্তারি স্থল সীমান্ত বাণিজ্য কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক কেবিনেট কমিটির এক জরুরি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ভারত এই নারকীয় হামলার পেছনে থাকা প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের মদদদাতাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেবে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও ভারতের সঙ্গে তাদের সমস্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, এমনকি ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তিও স্থগিত করেছে। দেশটি বলছে, সিন্ধু পানি চুক্তি বাতিল করা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
এদিকে, পেহেলগাম হামলার তদন্তে নেমেছে ভারতীয় পুলিশ। তারা ইতোমধ্যেই হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন জন সন্ত্রাসীর স্কেচ প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে পাকিস্তানের বাসিন্দা হাশিম মুসা ওরফে সুলেমান ও আলি ভাই ওরফে তালহা ভাই এবং অনন্তনাগ জেলার স্থানীয় বাসিন্দা আদিল হুসেন থোকার রয়েছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য ২০ লাখ রুপি পুরস্কারও ঘোষণা করেছে।