অগ্নিকান্ডে দোষীদের কাউকে ছাড় দিব না- স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
নারায়ন সরকার,রুপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
রূপগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৫২ জন শ্রমিক নিহত হওয়া সেজান জুস কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল । শনিবার ১০ জুলাই দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেড কারখানায় আগুনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এখন তদন্ত হবে ও দোষীদের বিচার হবে। ইতোমধ্যে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দোষীদের কোনো ছাড় নেই। গাফিলতি বিন্দুমাত্র থাকলেও কারো ছাড় নেই।
মন্ত্রী বলেন, ‘একটা দুর্ঘটনা হয়েছে, একটা হত্যা হয়েছে, অনেকগুলো মানুষ মারা গেছে, মামলাতো হবেই। মামলা হবে তদন্ত হবে, যারা দোষী, যারা সামান্যতম এর সঙ্গে দোষী বা (যাদের) দায়ী করা হবে তাদের বিচার হবে।’
আটকদের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মালিকসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী মনে করে তাদের হয়তো সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। সেই জন্যই তারা আটজনকে আটক করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একসঙ্গে এতোজন লোকের প্রাণহানিতে সারাদেশে স্ববিরতা বিরাজ করছে। প্রথমে দেখলাম তিনজন, পরবর্তীতে ৪৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কিছু জীবিত ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছে।’
‘হাসেম ফুড ফ্যাক্টরির কতজন লোক এখানে কাজ করছিল সেটা তদন্তে বের হয়ে আসবে। ডিসি ও মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এই সব কিছুর পরেই আমরা বলতে পারব এখানে কেন এই ঘটনা ঘটেছে। যাই ঘটুক তা অত্যন্ত হৃদয় বিদারক ও দুঃখজনক। যারা ইন্তেকাল করেছে তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।’
‘যে কয়জন হাসপাতালে জীবিত আছেন আমরা মনে করি তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। আত্মীয়-স্বজনকে যেন আল্লাহ শোক সহ্য করতে দেন এই কামনা করি। সরকারিভাবে যে সহযোগিতা ডিসি তাৎক্ষণিকভাবে করেছেন…তাদের দুঃখ লাঘবের জন্য যা যা করা দরকার আরও করা হবে।
তদন্তের শেষে আইন অনুযায়ী বিচার হবে মন্তব্য করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রথম কথা দেখুন আমাদের ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, ইউএনও, ডিসি তাৎক্ষণিকভাবে তারা এসেছেন। এসে তারা জীবিত উদ্ধারও করেছেন। তাদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে। আমি প্রথমেই বলেছি কারো যদি কোনো ত্রুটি থাকে…নির্মাণ ত্রুটি থাকতে পারে, শ্রমিকদের পরিচালনার ত্রুটি থাকতে পারে, সব কিছুই থাকতে পারে। এইগুলো তদন্তের আগে আমরা কিছুই বলছি না।’মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্তের পরই বলা যাবে কার দোষ কতটুকু। কিন্তু তদন্তে কারো নির্মাণ ত্রুটি, শ্রমিক পরিচালনায় ত্রুটি বা কেউ যদি সামান্যতম ভুলও করে থাকে, তবে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
এ সময় শিশুশ্রম নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তদন্তে সেটি বেড়িয়ে আসলে অবশ্যই বিচার হবে। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।