আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর এই বেনপোল বন্দর দিয়ে আবারো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে প্রতি টন পেঁয়াজ ৩০৫ ডলারে আমদানি মূল্য দেখানো হয়েছে, যা বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার ৪২৯ টাকা। সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়েছে প্রায় ৩৮ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ মানভেদে ৫৭-৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি করা সম্ভব।
পেঁয়াজের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের এসএম ওয়েল ট্রেডার্স এবং রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের ন্যাশনাল ট্রেডিং করপোরেশন। বন্দর থেকে পেঁয়াজের চালান এজেন্ট জন্য কাস্টমস হাউজে কাগজপত্র দাখিল করছে সি এন্ডএফ লিংক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আলহাজ আমিনুল হক বলেন, এর আগে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করেছিল। পরে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে ছিল ভারত। বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে আমদানি ও পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও অতিরিক্ত মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী গন সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছিলো। এতে করে পেঁয়াজ কিনতে নিম্ন আয়ের মানুষের গুনতে হচ্ছিল অতিরিক্ত টাকা। অবশেষে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধকেন্দ্রের উপসহকারী শ্যামল কুমার নাথ জানান, গত এক সপ্তাহে এপর্যন্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গন ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। মান পরীক্ষা শেষে পেঁয়াজ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক শামীম হোসেন জানান, আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে ৬০ টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে এবং এসব পেঁয়াজ বন্দর থেকে খালাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান।