মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দুইবার সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু । ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকগুলোতে গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে উভয় নেতাই একমত হয়েছেন, চূড়ান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরায়েল কোনো চুক্তিতে যাবে না।
বুধবার (০৯ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে একটি অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে এই আলোচনা, যেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি ছিল না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যেদিন হোয়াইট হাউসে অনির্ধারিত আলোচনায় বসলেন, সেদিনও গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে স্থানীয় সময় গত সোমবার হোয়াইট হাউসে নৈশভোজে অংশ নেন ট্রাম্প-নেতানিয়াহু। গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেছেন ট্রাম্প। এর পর থেকে তৃতীয়বারের মতো ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন নেতানিয়াহু।
গতকালের অনির্ধারিত আলোচনার আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে গাজার বিষয়ে ‘বিশেষভাবে’ কথা বলবেন।
গাজায় চলমান পরিস্থিতিকে ‘ট্র্যাজেডি’ উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের এটার (গাজা সংকট) সমাধান করতে হবে। গাজা হলো একটি ট্র্যাজেডি। তিনি (নেতানিয়াহু) এটা সমাধান করতে চান এবং আমিও এটার সমাধান করতে আগ্রহী। আমার মনে হয়, অন্য পক্ষও সেটা চায়।’
ওয়াশিংটন থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানিয়েছেন, ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর সর্বশেষ বৈঠক নিয়ে খুবই সীমিত তথ্য পাওয়া গেছে। ফলে আলোচনায় কী ঘটেছে, তা অনুমান করাও কঠিন।
বৈঠকের আগে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানান, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং সপ্তাহের শেষ নাগাদ একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেতে পারে বলে আশা করছে ওয়াশিংটন।
যদিও এর কিছুক্ষণ পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু জানান, গাজার অভিযান এখনো শেষ হয়নি। যদিও তিনি স্বীকার করেন, যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে।