রামপালে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক বিএনপির অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার(৮ জানুয়ারি)
এ বিষয়ে রামপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রামপাল সদর ইউনিয়নের ৫ ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী আদর্শের একনিষ্ঠ কর্মী।অভিযুক্ত আওয়ামী দোসর কুখ্যাত জামু বাহিনী প্রধান জনাব আকবর হোসেন আকো পূর্বে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের সময়ে রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক জামিল হাসান জামু এর সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধানের দায়ীত্ব নিয়ে বি এন পি এর বহু ত্যাগী নেতাকর্মীকে জুলুম নির্যাতন করে বাড়িছাড়া করেছেন।বিগত ৫ ই আগস্টে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসানের পর হতে
সুবিধাবাদী উক্ত আকো খোলস বদলে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির খোলসে আগের মতই নির্যাতন, লুটপাট ও হামলা
অব্যাহত রাখে। তার জুলুম নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৫০০-৬০০ এলাকাবাসী গন সাক্ষর সহযোগে গণ দরখাস্থ দাখিল
করেন। বিগত ০৭/১২/২০২৭ ইং তারিখ অনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রামপাল, বাগেরহাট প্রাঙ্গনে কেন্দ্রীয় বি এন পির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম সহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে রামপাল
উপজেলার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত আকবর হোসেন আকো তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর আনীত অভিযোগের সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় কমিটির
নেতৃবৃন্দ সহ রামপাল উপজেলা বি এন পি এর আহবায়ক জনাব হাফিজুর রহমান তুহিন কে উদেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ হুমকি প্রদান করতে করতে রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় স্থান ত্যাগ করে তার সন্ত্রাসী
বাহিনী নিয়ে ভাগার দিকে চলে যান। আমি কর্মসূচী শেষে রাত আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময়ে আমি সহ কয়েকজন কর্মী ৫ নং ওয়ার্ড বি এন পি এর আঞ্চলিক কার্যালয় তালাবদ্ধ করার উদেশ্যে গিয়ে আকো বাহিনী চিৎকার চেচামেচি
শুনে নিকটে গিয়ে দেখতে পাই, আকবর হোসেন আকো ও তার সহযোগী মারুফ হোসেন, শামীম, আলম, এরশাদ ও টিটু মোল্যা সহ আরো ২৫-৩০ জন ব্যক্তি বি এন পি এর কার্যালয় ভাংচুর করছে এবং কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম
ভাই ও জনাব হাফিজুর রহমান তুহিনকে উদ্যেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন ও পরবর্তিতে সুযোগ পেলে
তাদেরকে প্রাণে মেরে দেয়ার হুমকি প্রদান করছেন। জনাব আকবর হোসেন আকো বি এন পি এর ভারপ্রাপ্ত
চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর ছবি আছড়ে ভেঙ্গে ফেলেছেন ও জনাব শামীমুর রহমান শামীম এর ছবি পা
দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছেন। ওই সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে আমাকে মারার উদ্যেশে ধাওয়া করলে
আমি দ্রুত প্রানভয়ে স্থান ত্যাগ করি এবং পরবর্তিতে ঘটনাটি উপজেলার নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকবর হোসেন আকো জানান,আমার উপর আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন এ বিষয়ে আমি কোন কিছুই জানিনা
রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সেলিম রেজা জানান,আমরা লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত্য-সাপেক্ষে আইনঅনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।