ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে আমদানি করা বিদ্যুতের দাম পুনর্নির্ধারণে কোনো আলোচনা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। অথচ সম্প্রতি দামসহ চুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে পিডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে আদানি পাওয়ার লিমিটেড। পিডিবি চেয়ারম্যান বলছেন, আদানির সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে মাত্র।
এক টাকা কিংবা দুই টাকা নয়; বাংলাদেশের কাছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আদানি পাওয়ার লিমিটেড ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিক্রি করেছে রীতিমতো দ্বিগুণ দামে। এ যেন নিজের মর্জিমাফিক দাম নির্ধারণ! ভারতের অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সাড়ে সাত টাকার কমে বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ, সেখানে আদানির থেকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ কিনেছে ১৪ টাকা ২ পয়সায়।
সম্প্রতি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দাম কমিয়ে আদানি ইউনিট প্রতি ১২ টাকায় বিদ্যুৎ বিক্রি করলেও, তা ভারতের অন্যান্য বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত দামের চেয়ে ২৭ শতাংশ বেশি। আর রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এ দামের পার্থক্য ৬৩ শতাংশ। অসম এ চুক্তিতে পিডিবির সঙ্গে আদানির সম্পর্কের টানাপোড়েন উঠে এসেছে রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে।
পিডিবির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে রয়টার্সকে আদানি একথা জানালেও পিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সময় সংবাদকে বলেন, এখন পর্যন্ত হয়নি কোনো গঠনমূলক আলোচনা, চলছে প্রস্তুতি।
তিনি আরও বলেন, নিজস্বভাবে চুক্তির বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আলোচনা বা প্রস্তাব দেয়ার জন্য আগে চুক্তির বিষয়গুলো বুঝতে হবে। তাই চুক্তিগুলো বিশ্লেষণ করে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আর কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, আদানির কাছে থেকে বিদ্যুৎ দ্বিগুণ দামে কেনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা বিদ্যুৎ বিভাগে বড় বড় এসব দুর্নীতির কলকাঠি নেড়েছেন তাদের অনেকেই এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও নিতে হবে ব্যবস্থা।
আদানির এই অসম চুক্তি থেকে আগামীতে শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।