খুলনার কয়রা উপজেলা সদরে গোবরা গুচ্ছ গ্রামের পুকুর মসজিদ কমিটি সভাপতি মাওঃ রইচ উদ্দীন তিন বছরের জন্য ৪৫ হাজার টাকায় নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে।
সরেজমিনে গোবরা গুচ্ছ গ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে গিয়ে জানা যায়,আশ্রয়ণ প্রকল্পের মসজিদে শুক্রবার জম্মার নামাজের পর বসে নিলামে মাধ্যমে সবোর্চ্চ দরদাতা খোকন বাওয়ালীর কাছে তিন বছরের জন্য পুকুর বিক্রি করে দেন মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওঃ রইচ উদ্দীন মিস্ত্রী।
গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন,পুকুরে গোসল করা ও বাচ্চাদের পুকুরে নামা নিষেধ করে দিয়েছেন ইজারাদার খোকন বাওয়ালী।আমরা চাই গুচ্ছ গ্রামের পুকুর সবাই ব্যবহার করুক।ইজারা দিলে আমরা কোথায় গোসল করবো ও প্রয়োজনীয় পানি পাবো।
গোবরা গুচ্ছ গ্রাম মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্য জানান উপজেলা চেয়ারম্যান তাদের পুকুর ইজারা দিয়ে টাকা মসজিদ কমিটিকে নিতে বলেছেন।তবে পুকুর বিক্রির বিষয়টি চেয়ারম্যান জানেন না বলে জানান এবং তাঁর নামে মিথ্যা বলা হচ্ছে বলে তিনি বিষয়টির প্রতিবাদ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম শফিকুল ইসলাম আরো বলেন,আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুরটি বসবসরত পরিবারের পানি কষ্ট দূর করার জন্য খনন করা হয়েছিল।এ পুকুর ইজারা দেওয়ার সুযোগ নেই।পুকুরের পাড় সংস্কার সহ ঘাটের ব্যবস্থা দ্রুত করা হবে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মো.তারিক উজ জামান বলেন, বিষয়টি জেনেছি।গোবরা গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কক্ষে ভেড়া পালন সহ বহু অভিযোগ থাকলেও জামাত নেতা মাওঃ রইচ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.কামাল হোসেন বলেন,শ্রেণি কক্ষে ভেড়া পালন বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে সরেজমিনে তদন্তে পাঠানো হবে।এছাড়া গুচ্ছ গ্রামের পুকুর বিক্রির বিষয়ে তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমি কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হবে।