বগুড়ায় যথাযথ মর্যাদায় খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বীরা শুভ বড়দিন পালন করে। সোমবার বগুড়া খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর উপাসনালয়ে ধর্মীয় গান, ত্রাণকর্তা যিশু এ পৃথিবীতে কিভাবে জন্ম নিয়েছিলেন এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বগুড়া খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর সভাপতি রবার্ট রবিন মারান্ডী এতে সভাপতিত্ব করেন। বগুড়া-৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করে বক্তব্য রাখেন।
বড় দিনের শুভেচ্ছা জানাতে অংশ নেন বগুড়া পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। তিনি বলেন, মানুষের মাঝে ত্রাণ কর্তা হিসেবে আবির্ভাব হয়েছিল যিশু খ্রিষ্টের। মেষ পালক থেকে মানব মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন তিনি। আমরা জানি একজন মানুষ জন্ম নিলেই তার সবকিছু ঘরে বসেই হয় না। তাকে জীবন ধারণের নিমিত্তে কর্মে লিপ্ত হতে হয়। তার কর্মের মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রস্ফুটিত করে তোলে তার জীবন ধারা। আমরা সবাই মানুষ, তাই সবাইকে তার জীবনের জয়গান গাইতে হবে মানবিক কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে। মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে। যার মধ্যে দিয়ে একজন মানুষ সমাজের জন্য কল্যাণকর হয়ে উঠবে। দেশের জন্য নিজেকে আত্মনিয়োগ করবে। খ্রীষ্টিয় ধর্মাবলম্বীরা যিশু খ্রীষ্টের জন্মদিনকে বড় দিন হিসেবে পালন করে থাকে। এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় উৎসব। খ্রীষ্টিয় ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটি আনন্দের সাথে পালন করে। উপাসনা করে, যাতে করে এই পৃথিবীর সকল অশনী দুর হয়ে মঙ্গল বিরাজ করে। তিনি আরো জানান বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের বন্ধন দৃঢ় করবে এই উৎসব। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে মানবজাতি পাপ ও ঘৃণার পথ থেকে মমতা, ভালোবাসা ও ক্ষমাশীলতার পথে ফেরানো সম্ভব। বড় দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেয় বগুড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ শেখ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, আওয়ামীলীগ নেতা কামরুল বাশার খান, বগুড়া খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর আশের মাইকেল বেসরা, আলবার্ট সঞ্জয় বিশ্বাস, টোনাম সরকার, ছবি বিশ্বাস, জর্জেট বুলবুল ব্যাপারি, মার্গারেট বন্দনা জুঁই, এ্যাড. বার্নাড তমাল মন্ডল, ডা. রিটা মন্ডল, স্বপন সরেন, চার্চ কাউন্সিলরবৃন্দ, সর্বস্তরের খ্রীষ্টভক্তগণ ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ। বড়দিনের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন পালক গিলবার্ট মৃধা ও সমাপনী ধ্যানপর্ব পরিচালনা করেন প্রাক্তন পালক মি. সৌরভ বিশ্বাস। আলোচনা শেষে বগুড়া পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী প্রদত্ত প্রভূ যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিনের কেক কাটা হয় এবং শিশুদের মাঝে চকলেট বিতরণ করা হয়। পরে ধর্মীয় গানে গানে আনন্দ উল্লাসে মুখরিত হয় গোটা উপাসনালয় প্রাঙ্গণ।