জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে স্বামীর ৩০ লাখ টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও প্রবাসীর স্ত্রী।
প্রবাসী স্বামীর ৭বছরের জমানো ৩০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে প্রবাসীর স্ত্রী কল্পনা আক্তার (৩৩) উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যাই ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর সামন্তহার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রবাসী রতনের শশুর আঃ সামাদ বাদী হয়ে কোম্পানি কমান্ডার র্যাব ক্যাম্প জয়পুরহাট সিপিসি-৩ ক্যাম্প রাজশাহীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্বামী বিদেশ থাকা অবস্থায় আমিরপুর এলাকার বাঁসখুর ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অফিস সহকারী ফারুক নামের এক যুবকের সঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া গড়ে উঠে।
বিষয়টি জানাজানি হলে (৯ডিসেম্বর) রাতে নিজের কাছে গচ্ছিত ৩০ লাখ টাকা ওস্বর্ণ অলংকারসহ সংসারের আসবাবপত্র নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ।
অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে প্রবাসী রতনের চাচা সাজ্জাদুল হক প্রবাসে থাকা রতনকে বিষয়টি খুলে জানালে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন৷ ওই গৃহবধূ বর্তমানে প্রেমিক ফারুকের সঙ্গে আত্মগোপনে রয়েছে৷
অভিযোগে জানা গেছে, প্রায় ১৬ বছর পূর্বে পাঁচবিবি উপজেলার আমিরপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের মেয়ে কল্পনার আক্তারের ক্ষেতলাল উপজেলার সামন্তহার গ্রামের প্রবাসী রতনের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পরই রতন কাতারে চলে যায়। এর পর জামাই প্রবাসে থাকায় ফারুক হোসেন নামের ওই ব্যক্তি আমার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো এবং বিভিন্ন সময় আমার মেয়ের বাড়িতে যাতায়াত করতো এরই মাঝে গত (৯ডিসেম্বর) রাত (১১ঘটিকার) সময় আমার মেয়েকে ফুসলাইয়া সুকৌশলে জামায়ের বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়৷
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাতার প্রবাসী রতন সাংবাদিকদের জানান গত ৭বছর ধরে প্রবাস জীবনের সব টাকা স্ত্রীর নামে ব্যাংকে পাঠাতাম এবং আমার দুটি বাচ্চা রয়েছে আমার সংসারে প্রায় ৫-৭বিঘা সম্পত্তি আমার স্ত্রী সব দেখভাল করতো সংসার ও আমার প্রভাসের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে ফারুকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে৷ আমরা প্রাথমিকভাবে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি আমার শ্বশুরও বাদি হয়ে অভিযোগ দিয়েছে আমি এইমাত্র বিদেশ থেকে আসলাম পারিবারিকভাবে বসে ব্যাংকের সব ডকুমেন্ট নিয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করব৷
প্রতিবেশী মুক্তা বেগম জানান, ক্প্লনা আমার সম্পর্কে যাও, সে ইসলামী আইন মোতাবেক স্বামীকে তালাক না দিয়ে এক জনের হাত ধরে চলে গেছে। তার হাতেই ছিল সংসারের সবকিছু, পালিয়ে যাবার সময় স্বর্ণ ও নগদ টাকা সহ যা কিছু ছিল সব নিয়ে পালিয়ে গেছে৷ আমরা প্রতিবেশী হিসেবে রতনের সকল কষ্টের অর্জিত টাকা ফেরত চাচ্ছি৷ তবে ওই গৃহবধূ ও তার প্রেমিক ফারুকের ফোনটি বন্ধ পাওয়াই তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷
নিখোঁজ কল্পনা আক্তারের ছেলে কবির বলেন, আমার আব্বু দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসে থাকতো ও সংসারের অস্বচ্ছলতা ফেরাতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে আমার মায়ের একাউন্টে সব টাকা পাঠাত এমন সময় আমার মা যে কাজটি করেছে এটা সম্পূর্ণ অন্যায় আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে আমার বাবার কষ্টের টাকাগুলো ফেরত চাই৷
এ ঘটনায় জয়পুরহাটের র্যাব ক্যাম্প সূত্রে যানা যায় নিখোঁজ কল্পনার বাবা আঃ সামাদের লিখিত অভিযোগটি তদন্ত চলছে উল্লখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।