খুলনার কয়রা উপজেলার যুব উন্নয়ন অফিসের আয়োজনে ও কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সহযোগিতায় উপজেলার সাত ইউনিয়নের ৩০ জন বেকার যুবক ও যুব মহিলাকে ছয় দিনের মৎস্য চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার কয়রা সাংবাদিক ফোরামের হল রুমে মৎস্য চাষ বিষয়ে প্রশিক্ষণের শেষ দিনে কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটু’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মো.রেজাউল করিম।এসময় উপস্থিত ছিলেন কয়রা উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি মাস্টার খায়রুল আলম,উপজেলা সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আছাদুল হক,সাংবাদিক আবির হোসেন,মিনহাজ দিপু সহ প্রমুখ।
কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তারিক লিটু বলেন,
বেকার যুবক-যুব মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে কয়রা উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসের কর্মকর্তা দক্ষ ও যুবকদের সাথে আচারণ ভাল করায় যুব অফিস থেকে আগে থেকে সবাই বেশি সেবা পাচ্ছে।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম বলেন,যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কয়রার অনেক যুবক যুবতী সফল উদ্যোগতা ও ব্যবসায়ী হয়েছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বেকার যুবকরা প্রশিকণ গ্রহণ করে বিভিন্ন ধরণের খামার করে যেমন- হাঁস মুরগির খামার, গরু মোটাতাজাকরণ, মৎস্য খামার করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। অনেক প্রশিক্ষিত যুবক গবাদি পশু-পাখির প্রাথমিক চিকিৎসা করে নিজেকে স্বাভলম্বী ও আত্মকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিা লাভ করেছে। অনেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসাবেও গড়ে তুলেছে।
এই প্রশিক্ষণ শেষে আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্পের জন্য সহজ শর্তে যুব ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে। এক বছর মেয়াদি ঋণপ্রাপ্তির পর সফলতার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ তিনবার ঋণ পাওয়া যাবে। একক ঋণের পরিমাণ প্রশিক্ষণের ধরণভেদে ২০ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকা এবং গ্রুপভিত্তিক প্রত্যেকের পাঁচ ধাপে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে জামানতের প্রয়োজন হয় না। এ ছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণ শেষে প্রাপ্ত সনদ দেখিয়ে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যাবে।