আলু ভাতে বাঙালি!
অক্টোবরের ডিসেম্বরে আলুর চাষ উপযুক্ত সময়। দেশের উত্তর দক্ষিণ অঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, বরিশালে বেশ কিছু এলাকায় আলু চাষে ফলন বেশী হয়। চাষে আগ্রহী কৃষক। দাম কম পায়। ক্ষেত থেকেও ১০/১৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয় আলু। পাইকারি বাজার বসে সরাসরি কৃষক ক্ষেতে।
গরীব অসহায় মানুষের মধ্যে মরুভূমির মাঠে ময়দানে চাষ পদ্ধতি ব্যবহার উপযোগী উত্তরাঞ্চলে।
এলাকায় আলু ভাতে বাঙালি বলা হতো কোন এক সময়ে। মাঙা পীড়িত এলাকায় আলু ও তামাক চাষে আগ্রহী ছিল কৃষক।
এখন সব জেলায় এ ধরনের আলু চাষ করা হচ্ছে। বরিশালের সকল জেলায় আলুর ফলন বেশী হয়। যদি কৃষক আলু চাষ করেন তবে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকে জেলায় ধীরে ধীরে আলু চাষ শুরু হয়। ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে সকল জেলার অনেক ব্লকে আলু চাষ হয়েছে।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসের শেষ দিকে যে সব চাষিরা আলু চাষ করেছিলেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই ফলন পেয়েছেন। তবে যে সব চাষিরা অপেক্ষাকৃত পরের দিকে আলুর চাষ করেছেন, বৃষ্টির দরুণ সেইসব খেতে জল জমলে গাছের ক্ষতি হবে। সেইসবের আলুর চারা রোপন করা শুরু কার্তিকে।তাছাড়া আলু চাষের জন্য সেচের প্রয়োজন। তবে মেঘলা আবহাওয়া জমিতে সেচ দেওয়া যাবে না। দুলালবাবু পরামর্শ, “এখন চাষিদের জমিতে কোনও প্রতিষেদক স্প্রে না করতে বলা হয়েছে। জমি থেকে যাতে জল বেরিয়ে যেতে পারে, সেজন্য জমিতে নিকাশির ব্যবস্থা করলে ভাল হয়।” ইতিমধ্যেই জেলায় প্রায় দশ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর ফলন হয়ে গিয়েছে। কিছু এলাকায় আলু তোলা শুরুও হয়েছে। সাধারণত তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে আলু চাষে কোনও সমস্যা হয় না। তবে তাপমাত্রা তার থেকে বাড়লে ও স্যাঁতসেতে আবহাওয়া আলু চাষের পক্ষে প্রতিকূল।
আসুন আলু চাষ করে অর্থকরি ফসলে আগ্রহী হই। ৬৪ জেলার কৃষি মাঠে ধান চাষ শেষে আলু চাষ পদ্ধতি উপযোগী।
লেখক,
সম্পাদক আজকের কাগজ রাজাপুরের
সদস্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের।