বাংলাদেশকে বিভিন্ন চাপে রাখছে আমেরিকা ও গার্মেন্টস ব্যবসা সম্প্রসারণ বায়ার। এ সপ্তাহের মধ্যেই আসবে ব্যবসা সম্প্রসারণ গার্মেন্টসের অর্ডার নিষেধাজ্ঞা। অভাবের দিকে ঝুঁকছে গার্মেন্টস। এসব বিদেশি পর্যবেক্ষক সহ আমেরিকা ও ইউএ দল করে আসছে আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা।
নির্বাচন আসল ইস্যুকে প্রাধান্য দিতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েই চলছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে।
তারই ধারাবাহিকতায় আবার নতুন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে নিষেধাজ্ঞা দিবে বলে দৈনিক কালবেলার সম্পাদক আবেদ খান সন্দেহ পোষনে তার ব্যাখ্যায় বলেছেন, এ সপ্তাহে ঝড় তুলবে নিষেধাজ্ঞা আসছে নতুন করে। তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তিত।দেশের উপর বিদেশি চাপ আসলে বাজার দর নিয়ে সংকটে পড়বে দেশ।ধ্বংসের দিকে ঝুঁকছে ব্যবসায়িক সুযোগ সুবিধা।
কোন পথে হাটছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এমন মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক, গবেষক পর্যবেক্ষক বাংলাদেশ দলের নেতারা।
নেতারা বিশ্লেষন করে বলেছেন,আজ বাংলাদেশের গার্মেন্টসকে নিয়ে রাজনৈতিক বেড়াজালে বায়ার কর্তৃক অর্ডার না দেওয়ার পক্ষে আমেরিকার ৫০ শতাংশ কাজ। এত কাজ যদি না আসে আমাদের দেশে, তাহলে কি অবস্থা হবে মানুষের আয়,ব্যয়সহ এলসি ব্যবসাদের।
একাধিক সুতা উৎপাদন ফ্যাক্টরির এজিম এর সাথে আলাপ করে জানাগেছে, এলসি সংকটে টেক্সটাইল জগতের,গার্মেন্টসে অর্ডার নাই।কমে গেছে বায়ার। এজন্য কিছু কাজ আছে যাহা এক মাস আগেই করা শেষ। এখন নতুন অর্ডার ডুকতে হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত রাখা দরকার।
রাজনৈতিক হৈচৈ, মিছিল মিটিং সহ হ য ব র ল হলে ব্যবসার গতি নিন্ম হবে।আয়ের চাকা অচল হয়ে পড়বে।
এসকল সম্পর্কে অনলাইন পত্রিকা আজকের কাগজ এর সম্পাদক জাকির সিকদার ১ হাজার গার্মেন্টস কারখানা জরিপ করে দেখেছেন যে,
কাজ নাই ৫০% গার্মেন্টসে। ৮ টু ৫ টা পর্যন্ত কাজ চলছে প্রায়ই গার্মেন্টসে। সপ্তাহে ২/১ দিন ছুটি নিয়ে ৮ ঘন্টার কাজ করেন সকল শ্রমিক ঢাকা,গাজীপুর, আশুলিয়া, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, সাভার এলাকায়।
কাজ কমে গেছে এমন লক্ষ দিয়ে দেশসেবক সরকার ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাট দেশের অবস্থা চিন্তা করছে কিনা এমন লক্ষ পরিলক্ষিত না।
বিএনপির অবস্থান এক দফা দাবীতে সরকার পদত্যাগের জন্য চরমোনাই পীর ২০ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের ডাক দিয়েছে। বিএনপির ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের প্রস্তুতি চলছে। হাকডাকের মধ্যেই আওয়ামী লীগের মহাযাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন একইদিনে।
মোট কথা দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি দর্শন হ য ব র ল পথে।
নির্বাচন হবে বলছে সরকারি দল।আর নির্বাচন মানে না বিরোধী দলের সাথে জোটবদ্ধ দলগুলো। সরকারের পক্ষে কিছু দল আছে তাহারা নির্বাচন করতে আগ্রহী। অপরদিকে বিএনপির সমর্থন করা ২০/২৫ টি দল নির্বাচনে অংশ নিবে না। সরকার পদত্যাগ করে জাতীয় সরকারের আধীনে নির্বাচন চায় দেশের ৮০% রাজনৈতিক দল। তবে দেশের মানুষ এখন আতংকিত হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক দলের কথার টকশোর মধ্যেই হকচকিয়ে যাচ্ছেন রাজনীতি পর্যায়ে নেতারা।
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক একবার বলে আসবেনা,আবার সরকারের চাপে নাকি টাকা খেয়ে বলছে আসবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ দল।বিদেশি হাকডাকে দিশেহারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ীরা।
দেশের অবস্থা বারটা বাজবে এতে সন্দেহ নাই বলেছেন বিভিন্ন গবেষক পর্যবেক্ষণ দলের নেতারা।
রাজনীতির কাছে মাথা নত করার মত কোন বড় দল এখনও সহানুভূতি দেখাননি। যার যার মত কথা, সমাবেশ, মিছিল, মিটিং করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থন গোষ্ঠী। দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি হতে হবে এমন পথ তৈরি করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক জাকির সিকদার। তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে গভীর উদ্যোগ প্রকাশ করে বলেন,আজ রাজনৈতিক দলের শুভ বুদ্ধি উদয় হওয়া দরকার। সমঝোতার ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। জোটগত আন্দোলনের অভিজ্ঞতা সকলের আছে। তবে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে রাজনৈতিক বড় বড় দলগুলো।
দেশের উৎপাদন পন্য সামগ্রিই দেশেই দাম বৃদ্ধি।দেশের পানির দাম,দেশের মাছের দাম,দেশের ইটের দাম, দেশের সব কিছুতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।এ যেন বাংলাদেশের পরাজিত মোর লক্ষ করছে। দেশের মানুষের জন্য রাজনীতিই মূল কারন। এ রাজনৈতিক কারনে মানুষ দলে দলে ঝুঁকছে টাকার আশায়, চাকরির আশায়। এ সুযোগে মানুষকে হয়রানির দিকে টানছে রাজনীতি।
এ ধরনের রাজনৈতিক খেলা বন্ধ না হলে এমন সময় আসবে কেহ রাজনীতি করতে অনিহা প্রকাশ করবে।
লেখক,গবেষক, সাংবাদিক জাকির হোসেন সিকদার।
সম্পাদক আজকের কাগজ রাজাপুরের
সদস্য
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন।