সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। গত (১০ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরুর পর গত বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সর্বশেষ ২১ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
সময় স্বল্পতা আর সংকটের কারণে এবছরও সরকার অনুমোদিত সব ইলিশমাছ রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। এ বছর সরকার অনুমোদিত তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১১ দিনে মাত্র ৬৩১ মেট্রিক টন ২৪০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে।
রপ্তানিকারক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় সরকার দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণে ইলিশ শুধু ভারতে রপ্তানি করে আসছে। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ইলিশ পূজায় অতিথি আপ্যায়নের ভরশায় থাকে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীরা।
এবছর দেশের ৭৯টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ইলিশ রপ্তানি। এ পর্যন্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৬৩১ মেট্রিক টন ২৪০ কেজি ইলিশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছেন।
এদিকে ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত (২২ দিন) ইলিশমাছ ধরা ও বিক্রি নিষেধাজ্ঞা থাকায় রপ্তানি বন্ধের কবলে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা এসেছে। রপ্তানিকারকেরা বাকি ইলিশ পাঠাতে সময় বাড়ানোর আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন।
ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিসের মালিক রেজাউল বলেন, সময় স্বল্পতায় সব ইলিশমাছ রপ্তানি সম্ভব হয়নি। সরকার যদি সময় বাড়ায় তবে বাকি ইলিশ রপ্তানি করা যাবে।
বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ফিশারিজ কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ইলিশ প্রজনন মৌসুমের কারণে ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ভারতে রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে এ বছর সব ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে না ভারতে। গেল বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল তিন হাজার টন। তখন ইলিশ মাছ না পাওয়ায় ও মাছের দাম বাড়ার কারণে মাত্র এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল।