মোঃ তৌহিদ আলম, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
গত ১৩/০৯/২০২০ ইং তারিখে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের অসহায় নূর ইসলাম ও বিউটি আক্তারের মেয়ে নুরজাহানের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়ে একটি ভিডিও আপলোড করা হয় সেই ভিডিওটি দেখে অসহায় পরিবারটির পাশে এগিয়ে আসার আশ্বাস দেওয়ার পরপরই অসহায় পরিবারটির পাশে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানার সম্মানিত অফিসার ইনচার্জ জনাব সুমন কুমার মহন্তের নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছেন পাটগ্রাম থানা পুলিশ।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েন নূরজাহান এর পর থেকে লেখা পড়া বন্ধ রয়েছে তার । এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি এরপর তার চিকিৎসার জন্য রংপুরে কয়েকবার নেওয়া হলেও সঠিক রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি, ডাক্টার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর জন্য বলেন কিন্তু অসহায় নূর ইসলাম ও বিউটি আক্তারের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি।
গত ১৫ই সেপ্টেম্বর রোজ মঙ্গলবার বৈরী আবহাওয়া ও বন্য উপেক্ষা করে নৌকায় করে অসহায় পরিবারটির পাশে এগিয়ে এসেছেন পাটগ্রাম থানা পুলিশ। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে নিজের বেতনের টাকা দিয়েও অসহায় ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য অসামান্য অবদান রেখেই চলেছেন পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সুমন কুমার মহন্ত।
নূর ইসলাম ও বিউটি আক্তারের মেয়ে নূরজাহানের খোঁজখবর নেওয়ার পর পাটগ্ৰাম থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব সুমন কুমার মহন্ত বলেন, নুরজাহানের শারীরিক ও মানসিক গঠন স্বাভাবিক থাকায় তার লেখা পড়ার রেজাল্ট অনেক ভালো ছিল এবং জেএসসি, এসএসসি,এইচএসসি কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছে। আমি মনে করি পাটগ্রাম থানার পক্ষ থেকে নুর ইসলাম ও বিউটি আক্তারের মেয়ে নুরজাহান এর চিকিৎসার পুরো ভার বহন করা সম্ভব নয় আমরা যা করেছি তা আমাদের একান্ত প্রচেষ্টায় করেছি ।এজন্য সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধি সহ সকল পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। এবং সকলের প্রচেষ্টায় পারে নূর ইসলাম ও বিউটি আক্তারের মেয়েকে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আর এর জন্য উন্নত চিকিৎসা ও অর্থের প্রয়োজন।
নুরজাহানের বাবা নূর ইসলাম বলেন, আমি গরীব মানুষ আমার পক্ষে আমার মেয়ের চিকিৎসার ভার বহন করা সম্ভব নয়। কয়েক বছর আগে আমার স্টক হয় এর পর থেকে আমি কোনো কাজ কর্ম করতে পারি না। আমার বউ মানুষের বাড়িতে কাজ করে এবং সেখান থেকে যা পায় তাই দিয়ে পরিবার চলে। আবার যখন মানুষের বাড়িতে কাজ বন্ধ থাকে তখন আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়। আমরা কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কোনো সাহায্য পাই না। তাই আমার আকুল আবেদন আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা একান্ত কাম্য।