নাটোর লালপুরে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষকের ফোনালাপ ফাঁস।
নাটোরের লালপুরে শফিউর রহমান (৩০) নামে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং সেন্টারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে কলেজছাত্রীকে (২০) যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এঘটনায় ওই ছাত্রী-শিক্ষকের একাধিকার ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ফোনালাপে শোনা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ফোন করে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাপ দেন ওই শিক্ষক।অভিযুক্ত শফিউর উপজেলার রহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও উধোনপারা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে এবং ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী একই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টার দিকে রহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ওই ছাত্রীকে কোচিং সেন্টারে চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে লালপুর বাজারে ডেকে দেন শফিউর। সেখান হতে শাহীনুর ইসলাম নামে একজনের সাথে দেখা করাতে পাশ্ববর্তী উপজেলা ঈশ্বরদীতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে সেখানকার একটি পার্কে নিয়ে যান। সেখানে ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন শফিউর। পরে ওই শিক্ষকের আচারণ অসঙ্গতি মনে হওয়ায় ওই ছাত্রী বন্ধুর কাছে মুঠোফোনে তাকে উদ্ধার করতে ক্ষুদেবার্তা পাঠান। পরবর্তীতে তার বন্ধুদের সহযোগীতায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা। পরে বিষয়টি ধাপাচাপা দিতে ওই ছাত্রী এবং তার বন্ধুদের মুঠোফোনে হুমকি দেন শফিউর।
স্থানীয় ও অভিভাবকরা, শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে উদ্বেগ জানিয়েছেন। কথোপকথনের রেকর্ড নিয়ে এলাকায় সাধারণের মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের এমন মনোভাবে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক শফিউর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাকে পরিকল্পিত ভাবে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসোনো হয়েছে। আর ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেন নি ওই শিক্ষক।
রহিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান মাবুদ আলীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে এড়িয়ে যান তিনি।
এবিষয়ে কথা বলতে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা সুলতানাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
আর লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জল হোসেন বলেন, এবিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।