হীমেল মিত্র অপু কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রাম সদর পাচঁগাছী ইউনিয়নের পাঁচগাছী বাজার সংলগ্ন এলাকার জলমহাল(ছড়া) তীরবর্তী জেলে সম্প্রদায়ের জীবন জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে। পাঁচগাছী মৎসসজীবি সমবায় সমিতির আয়োজনে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান চিনু, সাধারণ সম্পাদক ছালেহ আহমেদ মজনু, পাঁচগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আমির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সহ অনেকেই।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাংলা ১৪২৭-১৪৩২ সনের জন্য কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নে (ছড়া) জলমহাল (২০ একরের উর্ধে) উন্নয়ন প্রকল্পে ইজারা প্রদানের নিমিত্তে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দুটি আবেদন দাখিল হয়।
পরে মাঠ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচগাছী মৎস্যজীবিদের নামে প্রস্তাব প্রেরণ করবেন বলে অবহিত করে।
আমরা এই গ্রামের একমাত্র জেলে পরিবার জীবন-জীবিকা উক্ত জলমহালের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল আমাদের গ্রাম (ছড়া) তীরবর্তী।
অন্য সমিতিতে জলমহল অর্থাৎ (ছড়া) থেকে পাঁচ ছয় কিলোমিটার দূরের ঘোগাদহ ইউনিয়নে অবস্থিত উত্তর চান্দের খামার সমিতির সভাপতি পেশায় শিক্ষক ও অন্য সদস্যদের জীবন জীবিকার জন্য মাছ আহরণ বা উক্ত জেলের উপর নির্ভরশীল নয় জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র জল যার জলা তার এবং তীরবর্তী বিবেচনায় পাঁচগাছী মৎস্যজীবী সমিতির অনুকূলে প্রস্তাব প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মর্মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শ্রী বাবু অলক সরকার আমাদের অবহিত করেন।
সম্প্রতি জানতে পারলাম অদৃশ্য কারণে চান্দের খামার সমবায় সমিতির নামে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই সমিতির নামে উন্নয়ন প্রকল্পে জলমহালটির ইজারা প্রদান হলে প্রকৃত জেলে সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকার জন্য হুমকির মুখে পতিত হবে।
তাই পুনঃতদন্ত সার্বিক দিক বিবেচনা করে চান্দের খামার মৎস্যজীবী সমিতির নামে ইজারা স্থগিত ও যে কোন শর্তে আমার সমিতির নামে জলমহলের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব প্রদানের জন্য সমিতি তথা জেলে সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে সুদৃষ্টি কামনা করছি। তারা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে দুটি আবেদন করেও কোন সিদ্ধান্ত পায়নি। আমরা সমিতির সিদ্ধান্ত মোতাবেক হাইকোর্টের সহায়তার জন্য অবহিত হই। হাই কোর্ট রায় দেয় যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৪৫৭৬/২০২০/ কোর্ট নং ২৭ এবং সিরিয়াল নং ৫২।
পাঁচগাছী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজেন চন্দ্র দাস জানান,
এ ছড়াটি আমার বাড়ির সাথে এখানে মাছ ধরেই আমরা জীবন বাচাই সবাই হঠাৎ করে অন্য এক পক্ষ আমাদেরকে নামতে দিচ্ছেনা। আমরা জীবন কিভাবে বাঁচাবো। আমরা হাইকোর্ট থেকে রায় পেয়েছি তবুও আমরা ছড়াটি মাছ ধরতে পারছি না। মাছ ধরতে না পারায় সংসার চালাতে আর পারছি না। এ কারণেই জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগিতা চাচ্ছি তারা বলেছে আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান চিনু জানান, এই ছড়াটি যারা পেয়েছে তারা প্রকৃত মৎস্যজীবি না। যারা প্রকৃত মৎস্যজীবি তারা এই ছড়া থেকে বঞ্চিত হবে এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। আমরা তাদেরকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করব তারা যেন তাদের ছড়াটি ফিরিয়ে পান।