ফেনী-১ আসনের নৌকার মাঝি হয়ে জনগণের সেবা করে যেতে চান কামাল চেয়ারম্যান।
ফেনীর তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতা ও দীর্ঘদিনের সফল চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার।
অসহায়, দুঃখী, ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ, আস্থাভাজন ও এলাকাবাসীর সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। তবে তিনি কি করেছেন তা ভাবতে চান বা, তার কথা-আমৃত্যু ফেনীর পরশুরাম-ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া নিয়ে গঠিত ফেনী-১ আসনের জনগণের সেবা করে যেতে চাই। এজন্যই এই আসনে এইবার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তিনি। ১৯৮৮ সালে পরশুরাম কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য পদ দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনের পথচলা শুরু হয়। ১৯৯০ সালে পরশুরাম থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯২ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম পরশুরাম সদর ইউনিয়নের চেয়ার প্রতীকে নির্বাচন করে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর এখান থেকে শুরু হয় তার জনপ্রতিনিধির অধ্যায়। এরপর তিনি মূলদল তথা ১৯৯৪ সালে পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত। ১৯৯৭ সালে চেয়ার প্রতীকের নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ২য় বারেও নির্বাচিত হন কামাল উদ্দিন মজুমদার। তৎকালীন আওয়ামী ক্ষমতা থাকাকালীন ১৯৯৮ সালে সরকার কতৃক শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবেও ভূষিত হন। একই বছর তিনি পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছিলেন । পরশুরাম পৌরসভা গঠনের পর ২৫ই এপ্রিল প্রথম পৌর প্রশাসক নির্বাচিত হন ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা তৃণমূলের এই নেতা। ২০০৩ সালে পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন দ্বিতীয় বারের মত। এরপর ২০০৯ সালে দেওয়াল ঘড়ি প্রতীকে প্রথম পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে তৃতীয় বারের মত পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় বারের মত পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। কামাল মজুমদার আশা করেন, তিনি এইবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন এবং নির্বাচনে জয়ী হয়ে দল ও জনগণের সেবা করতে পারবেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার উন্নয়ন ও স্থানীয় রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করে তুলেছেন এবং নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে কামাল উদ্দিন মজুমদার এর বিকল্প কোন প্রার্থী নেই। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নতুন প্রজন্মের নেতা-কর্মী ও সাধারণ এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কামাল উদ্দিন মজুমদার তৃণমূল আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত নেতা ও একমাত্র জনপ্রতিনিধি। ফেনী-১ আসনে তার বিকল্প নাই। এলাকাবাসীর অত্যন্ত আস্থাভাজন ও তাদের সুখ-দুঃখের অংশীদার হিসেবে পরশুরাম উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদারকে আগামী সংসদ নির্বাচনে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শিত ক্যারিশমাটিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মাট বাংলাদেশ বিনির্বানের লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন নানান গুনে গুনান্নিত, তরুন, মেধাবী, দূরদর্শী নেতৃত্বের অধিকারী জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা কামাল উদ্দিন মজুমদার। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে এক প্রশ্নের জবাবে কামাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে অসহায়, দুঃখী, ছিন্নমূল হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মাননীয় সভাপতি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল রূপকার, স্মার্ট বাংলাদেশের দস্বপ্নদ্রষ্টা, আধুনিক বাংলাদেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি এবং অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতির বিশ্বনন্দিত রোলমডেল মানবিক নেত্রী গণতন্ত্রের বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবো।