মিছিল ও সমাবেশে পুলিশের হামলা, সাধারণ পথচারীসহ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের অর্ধশত নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ।
জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় মহানগরী দক্ষিণের মিছিল ও সমাবেশে পুলিশের হামলা, সাধারণ পথচারীসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের অর্ধশত নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ৮ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাযায় বাধা, কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, নেতৃবৃন্দের মুক্তি ও সারাদেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ শেষে ফেরার পথে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের অতর্কিত হামলা, রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুরো এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে এবং সাধারণ পথচারীসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মীকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশ শেষে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে সাধারণ পথচারী এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার সম্পূর্ণ অন্যায়, অনভিপ্রেত ও অনাকাক্সিক্ষত। আমি শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলা এবং অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সরকার কোনো দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দিচ্ছে না। সরকার জামায়াতে ইসলামীর হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালাচ্ছে। জুলুম- নির্যাতন সত্ত্বেও জামায়াতে ইসলামী নিয়মতান্ত্রিকভাবে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, দেশের সংবিধান প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার দিয়েছে। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার কারো নেই। গায়ের জোরে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। অতীতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে জনগণের ন্যায় সংগত অধিকার আদায়ের কোনো আন্দোলনকে দমন করা যায়নি। এখনো যাবে না ইনশাআল্লাহ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার জনগণের ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। দেশকে আজ পুলিশি রাষ্টে পরিণত করা হয়েছে। রাষ্টেধর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমি সরকারের সকল অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অবিলম্বে এসব অন্যায় গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সমাবেশ থেকে সাধারণ পথচারীসহ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি এবং কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”