চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের তাসহিন হাতে লিখেছেন ৩০ পারা কোরআন।
তাহসিন আলম উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর এলাকার রফিকুল আলমের ছেলে। এই কোরআন শরীফ লিখতে ৬ শত বেশি কাগজ ও অর্ধশত কলমসহ লেগেছে অন্যান্য উপকরণ। পড়ালেখা ও ঘরের টুকটাক কাজ ছাড়াও বাকি সময়টি তিনি ব্যয় করতেন পবিত্র কোরআন শরীফ লেখার কাজে।
ইসলামের প্রতি বিশ্বাস ও আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকে পবিত্র কোরআন শরিফ হাতে লিখলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মো. তাহসিন আলম (২০) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। যা এলাকার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। স্বহস্তে লেখা কোরআন শরিফটি দেখতে প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছেন তার বাড়িতে।
কোরআন শরিফটি লিখতে ছয়শ’র অধিক এ ফোর সাইজের কাগজ ও অর্ধশত কলমসহ আরও অনেক উপকরণ লেগেছে তাহসিনের। স্বহস্তে কুরআন শরিফটি লিখতে দীর্ঘ এক বছর এক মাস সময় লেগেছে তার। পড়ালেখা ও ঘরের টুকটাক কাজ ছাড়া বাকি সময়টি তিনি পবিত্র এই ধর্মগ্রন্থটি লিখেতে ব্যয় করতেন।
জানা গেছে, দীর্ঘ এক বছর এক মাস সময় লেগেছে স্বহস্তে কোরআন শরীফটি লিখতে। বর্তমানে সে জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় ফাজিল প্রথম বর্ষে ও চট্টগ্রাম কলেজে ইসলামিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে পড়ালেখা করছে। কোরআন শরীফ লিপিবদ্ধ করার প্রতিটি মুহূর্তই বিশেষ ছিল তাহসিনের কাছে। প্রথম দিকে কিছুটা কঠিন লাগলেও একসময় ভালোলাগা শুরু হয়। দৈনন্দিন জীবনের কাজের একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিটি হরফ যখন লিখতেন, মনে করতেন এটিই জীবনে সবচেয়ে শান্তির কাজ।
উল্লেখ্য, এর আগে স্বহস্তে পবিত্র কোরআন লিখেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৪–১৫ সেশনের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম দিয়া। টানা দেড় বছরের প্রচেষ্টায় তিনি কোরআন শরীফের ৩০ পারাই হাতে লিখেছেন।